ভাবাবেগ এই মন চলেছে এক গভীর উদ্বেগে যাকে আর কোন কিছু দিয়ে থামানো চলে না। বছরের শুরু থেকে শেষ অবধি অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে ভাবাবেগ মন, বহমান সময়ের দিকে তাকিয়ে কখন সেই শ্বাশত মহান জ্যোতির কণিকা দেখা যাবে ক্ষণেকের জন্যে। ক্ষণ তো ক্ষণ-ই শেষ হয় না সে প্রতীক্ষার আর বহমান ধারা বইতেই থাকে অব্যাহিত ধারাই। রচনার সময় কাল থাকে শীতের শুরুতে অথবা কোন নির্জন রাতের আঁধারে অথবা কোন এক গরমের দাবদাহ ক্লান্ত বিকেলে অথবা হিমহিম ঠান্ডার উষ্ণতায়। প্রকৃতির প্রেম বড়ই করুণাময়। যেটা কেউ অতি সহজে মনের কারক গ্রহে আবদ্ধ করতে পারবে না। মনের যেমন পরিবর্তন হয় ক্ষণে ক্ষণে প্রকৃতিরও পরিবর্তন হয় ক্ষণে ক্ষণে। রুপ, সৌন্দর্য বিলাসিতা যেমন ঝরে ঝরে পড়ে। প্রকৃতি সাজে বিভূত রঙে তেমনি মনও সাজে তার মনের আল্পনায়। সবকিছু যেন ঐশ্বর্য মন্ডিত রূপে অসীম তুলনীয় মহনায় বিন্যসিত থাকে অপার মহিমায়। যার রূপ কখনও বর্ণনা করা যায় না। সেই রূপ থাকে অপার হয়ে যা কিনা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়।
স্পর্শ মানবাত্মাকে বাচিঁয়ে রাখে দিন থেকে দিনান্তর। সেই স্পর্শ, গন্ধ, পরিচিত স্বাদ, রূপ-রসবোধ জাগ্রত থাকে বিলীন হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত । এই পৃথিবীর পরতে পরতে মেখে আছে সোনালী রূপালির আভা যা কিনা প্রকৃতির সৌন্দর্য মনে করিয়ে দেওয়ার মতই শুধু নয় তার রূপ মাধুর্য প্রস্ফুটিত হওয়ার সুব্যবস্থা। এমনটা না থাকলে যেমন প্রকৃতিকে সুন্দর লাগে না তেমনি মনের জানালায় কেউ উঁকি না দিলে সেই সৌন্দর্যের কোন রূপ রেখা শোভা পায় না।
আহা!!!! আমরা শুধু আছি সৌন্দর্য নিয়ে। আসলে আগে দর্শনধারী পরে গুনবিচারী। তাহলে তো সৌন্দর্য গুরুত্ব পেল গুনের আবস্থা হলো টা কি?
গুনবতী প্রকৃতির কী রহস্য ঘেরা আছে আর কি লুকিয়ে আছে সেই রহস্যের মাঝে, যেখানে তার গুনকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা যাবে। প্রকৃতির অবাধ আর অসীম গুণের শেষ নেই। তাকে ছাড়া এই মন কখনই সুষ্টু সুন্দর নয়। প্রকৃতির মাঝেই এই মন বেঁচে আছে তার নিজস্ব চিন্তা চেতনায়, র্নিদ্বিধায় এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে। প্রকৃতির সৌন্দর্য তার গুণকে দোলা দেয়, বেঁচে থাকার প্রেরণা যুগায়, অপার সৌন্দর্যে পরিপূরকতা দান করে। মনের মাঝে সবকিছু পাওয়া না পাওয়ার পক্কতা দান করে। নিরানন্দকে আনন্দে থাকার অনুভূতি জাগায় কবির মনের খোরাক, কাব্য রসিকের কাব্য রসে রঞ্জিত করে, সাহিত্যিকির সাহিত্য সাধনার উন্মাদনা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন