লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক


বিকালে মায়ের রুমে গেলাম। মাকে বললাম মা চা দাও। মা বলছে আর কিছু খেতে দিবে কিনা, আমি বললাম ইচ্ছা হলে দাও। বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে আমি মাঝে মাঝে বিকাল বেলা ছাদে যাই কিন্তু বৃষ্টির নৃত্যে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আমার রোডের সাথে বাসা, দুইজন বৃষ্টিতে আটকে যেতে পারেনি তাই আমার বাসার বেলকনিতে বসে আছে। একটু বৃষ্টি ঝরা কম হলে তারা চলে যাই । মা পাশে এসে বসলো, বাবা উঠে বাইরে চলে গেলেন। সেই সময়ে আমাদের একজন প্রতিবেশি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, মা তাকে ডাক দিলেন, বললেন কোথায় যাচ্ছো বৌমা? সে উত্তর দেয় মা অনেক বিপদের মাঝে ছিলাম, এখন বাসায় যাচ্ছি। ভেতরে এস কি হয়েছে বল! 


আমি বাইরের গেট খুলে দিলাম, বৌমা ভেতরে আসলো। তাকে বসতে দিয়ে আর ১ কাপ চা বানাতে দিলাম যদিও আমি চা ভালো বানাতে পারি না। বেলকুনিতেই বসে মায়ের সাথে গল্প শুরু করেছে। আমি শোনার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসলাম। 


গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক। গল্পটা এমন- বৌমার ভাইয়ের মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছেন যেখানে সেই এলাকাটি জটিল দুর্ধষ, এখানকার মানুষ দিনে দুপুরে মানুষ খুনখারাবি করে, এবং এরা  এতটাই নিজেদের সাথে সম্পৃক্ত যে কেউ কারো ব্যাপারে মুখ খোলে না। ওরা ব্যাপারটা জানতো না । যে ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছে সেই ছেলে মেয়েকে বিয়ে করার জন্য খুবই আগ্রহ প্রকাশ করে, সে ছেলে হিসেবে খুবই ভালো সেটা প্রকাশ করে। মেয়ের পরিবার ছেলের ব্যাপার দেখে তখন ছেলের পরিবার দেখার জন্য সেখানে যাই। সেখানকার সবাই ছেলে সম্পর্কে খুব ভালো ভালো অভিমত পোষণ করে তাতেই মেয়ের পরিবার ছেলেকে হিরার টুকরা মনে করে। 


মেয়ের পরিবার নাচতে নাচতে বাসায় ফিরে মেয়েকে মহা ধুমধামে বিয়ে দেয়। এখানে আর একটু তারা অভয় পায় মেয়ের এক মামা, ছেলের বাড়ী থেকে ৩ কিলোমিটার দূরের গ্রামে থাকে কোন সমস্যা হলে তারা দেখবে, এই প্রতিশ্রুতিতে তাদের কোন মাথাব্যাথা থাকে না, তাই তারা মেয়ে বিয়ে দিতে সক্ষম হয়। মেয়েটি হঠাৎ করেই বেড়ে উঠে, বয়সের তুলনায় শরীর বেশি বেড়ে যায় এবং দেখতে অনেক সুন্দরী, উঁচু, স্লিম ফিগার। ১৪ - ১৫ বছর বয়স হবে, মেয়েটা একটু চঞ্চল ধাঁচের। গ্রামে এমন উঠতি বয়সি মেয়েদের নিয়ে বাবা-মায়েদের চোখে কোন ঘুম থাকে না। তাই মেয়েকে যত তাড়াতাড়ি পারে পাত্রস্থ করতে চেষ্টা করে, আর সেটা করার ক্ষেত্রে কখনো ভাবেনা তার ভবিষ্যতে কি হবে। শুধু এইটুকু ভাবে বোঝা কমলো, ঝামেলা অন্যের উপর গেল, এখন শান্তিতে ঘুমানো যাবে । কিন্তু এটুকু ভাবে না যদি মেয়ের ভবিষ্যত খারাপ হয় তবে তো ঐ মেয়ে আবার ফিরে আসবে তখন তো তাকে সেই পরিবারে তাকে জায়গা দিতে হবে, আর সে আগের মত করে থাকতে পারবে না, পরিবারের একজন অবাঞ্চিত রুপে তার জায়গা হবে। একসময় দেখা যায় এইসব মেয়েরাই পতিতালয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়। 



মেয়েটি বিয়ের ৩দিন পর বাড়ীতে আসে, এটাকে বলে গ্রামের ভাষায় ফিরনি। মেয়েটি আর শ্বশুর বাড়ীতে যেতে চাই না। কিন্তু মেয়ের কথা কেউ শুনে না তার সমস্যা কি বরং তাকে বোঝায় কিভাবে শ্বশুর বাড়ীতে সবার সাথে ভালো থাকতে হবে এবং তাকে বলা হয় তোর বাবা এত টাকা-পয়সা খরচ করে বিয়ে দিয়েছে আর তুই এ ভাবে তার দাম দিবি? অমত করিস না সেখানে যা সব ঠিক হয়ে যাবে। এইসব বলে মেয়েকে আবার শ্বশুর বাড়িতে পাঠাই। সেখানে মেয়েটি যাবার ১৫ দিনের মাথায় মেয়ের পরিবার মেয়েকে আবার দিন করে বাসায় আনার জন্য মেয়ের ফুফু, চাচি ও খালাকে পাঠানো হয়। 



সবাই অনেক সাজ-সজ্জা করে মেয়েকে আনতে যাই। প্রত্যেকে ৪-৫ভরি গহনা গায়ে পরেছে, দামি শাড়ী এবং নতুন আত্মীয়ের বাড়ী উপলক্ষ্যে অনেক মিষ্টি মিঠাই, মাছ, তরকারি, পান-সুপারি নিয়ে গিয়েছে। বেশ মজা করতে করতে গিয়েছে। যখন তারা বাসার দিকে যাচ্ছে তখন মেয়ের আর্তনাদ শুনতে পারছে। আর শোনার পর,এরা পাশের বাসার একজনকে জিজ্ঞেস করছে এদের বাসায় কি হয়েছে? তখন ঐ বাসার মহিলা এদের চিনে না, সেই কারণে সব কিছু বলে দিয়েছে। ছেলের পূর্বে ২টা বিবাহ আছে, আর ছেলে বিয়ের পর বৌয়ের বাড়ীর টাকায় চলাফেরা করে এমন কি ছেলের বৌয়ের সন্তান আছে। এই ছেলে নতুন যে মেয়েকে বিয়ে করেছে তাকে সমানে শারিরীক নির্যাতন করে। প্রতিদিন রাতে ঐ ছেলে বাইরে থেকে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল খেয়ে এসে বউয়ের হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে এরপর তাকে প্রচুর মারধোর করে আমাদের বাড়ী থেকে প্রতি রাতে শুনতে পাই বৌয়ের কান্না, আর যত কান্না করে তাকে ততই মারে এবং গালিগালাজ করে(আঞ্চলিক ভাষায় গালি)। 



আমার মা শুনে বলছে কি বলছো বউমা!! বৌমা মায়ের উত্তরে বলছে- মা জানেন না তারপর আমরা তিনজন তো ঐ মহিলার কথা শুনে আর বাড়ীর ভেতর ঢুকতে পারছি না। কিন্তু তাদের চোখে পড়ে গিয়েছি এমনকি তাদের মোবাইল করা হয়েছে আমরা আসছি। আর মেয়েকে চোখে দেখে আসি কতটা সত্যি। বাড়ীর ভেতর যখনই ঢুকেছি তখনই ছেলের বাপ যাকে বেয়াই ডাকা হয় সেই লোক বের হয়ে এসে সবাইকে গালিগালাজ করা শুরু করেছে, এমন কি বলছে মাগীরা তোদের মিনসেরা আসিনি তোরা এসেছিস??? বাঁধ শালাদের যেন কেউ বাড়ী যেতে না পারে, মা-চাচী-খালা-ফুফু-মেয়ের সমানে..............করবো। উফ: আমি ঐসব ভাষা লিখতে পারছি না কারণ আমি কখনো এমন বিশ্রি আঞ্চলিক গালি আমার জীবনে উচ্চারণও করিনি। তাই ও গুলো লিখতে পারছি না। তবে বৌমা ঐ গুলো শুনে এসে সে মাথা খারাপের মত করে বলে যাচ্ছে কারণ সে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছে। আমি আর ঐ করূণ কাহিনী বর্ণনা করতে পারছি না। বৌমা ঔ রাতে মোবাইলের মাধ্যেমে দলীয় লোক জনের সাথে যোগাযোগ করে উপরআলার উপর নির্ভর করে সেখান থেকে বের হয়, সে বাথরুমের নাম করে বাড়ীর বাইরে এসে অনেক পথ নিজে একা এসেছে, রাস্তার মোড়ে ১ জন বাইক নিয়ে সে কিছুটা এগিয়ে দিল, এরপর অন্যজন , এভাবে সে রাত ২টার দিকে বাসায় এসে পৌঁছায়। বাকী ২ জনকে রেখে আসে । 

কারণ বেরোনোর কোন পথ ছিল না। মোবাইলে যোগাযোগ করে বৌমা বের হয়েছে। পরের দিন বৌমা সবার সাথে যুক্তি পরামর্শ করে এমপির সাথে যোগাযোগ করে বাড়ীর সবাই লোকজন জোগাড় করে সেখানে যাই আর যাওয়ার পর বলে আমাদের মেয়ের নিয়ে যাচ্ছি ও সুস্থ হলে আবার ওকে আমরা দিয়ে যাবো। এইসব কথা অনেক সুন্দর অভিনয়ের মাধ্যেমে বুঝিয়ে মেয়েকে ঐ বাসা থেকে বের করে নিয়ে আসে। বৌমা আরো লোমহর্ষক কথা বলছিল কিন্তু সে কথা আমি সুন্দর করে সাজিয়ে লিখতে পারছি না। 
ওখান থেকে বুদ্ধির মাধ্যেমে তারা মেয়েকে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের মুক্ত করেছিল। কারণ মানুষগুলো এতটা অমানবিক যে তাদের খুন করতে কোন বাঁধা নেই। এরা সবাই একতা বদ্ধ হয়ে বসবাস করে। কেউ অন্যায় করলেও সেটাকে উল্ল্যাস হিসাবে নেয়। 


বৌমা চা শেষ করে চলে যাচ্ছে আমি বললাম এখন কি করবেন। বললো মেয়েটার মেরে গুড়ো করে দিয়েছে, জীবনে আর কোন কর্ম করে খেতে পারবে না। এখন ওর চিকিৎসা চলছে। আর ঐ ছেলের পরিবার শুদ্ধ কেস করা হয়েছে। 


আমি আর মা তখন ঐ গল্পে মশগুল। মা বলছে- কি সর্বনাশ! মানুষ এত পাশবিক হতে পারে!!!!




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি