লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।




আমি যেন সেই পুরোনো হলুদ রঙ করা ইটে মরিচা ধরা বাড়ীর কথা ভুলতে পারছি না। সেখানে কতগুলো যে রুম তা গননার বাইরে, প্রত্যেকটি রুমের ব্যক্তির জন্য আলাদা করে থাকার ব্যবস্থা । কিন্তু বাসায় আত্মীয়-স্বজন এলে আমার রুম দখলে চলে যায়। আমার আর সেখানে জায়গা হয় না,, অন্য ‍রুম খালি পড়ে থাকবে তবু তারা সেখানে যাবে না। একটাই কারণ রাত হলেই ভূতের ভয় আর দিনের বেলা সবাই তা আর মনে রাখে না - এই হলো কাহিনী। আমাদের পরিবারে এতো বেশি সংখ্যক প্রজাতি একসাথে বাস করেছি যে আজ সেই বাড়িটা খাঁ খাঁ করে, সবাই জীবন- জীবিকার তাগিদে যার যার মত ব্যস্ত। 

আমার তখন মায়ের সাথে ঘুমাতে হয়। অন্য রুম গুলো তো ফাঁকাই থাকে, ইচ্ছা করলে সেখানে ঘুমুতে পারি কিন্তু  আমার ও অন্য রুমে একা একা ঘুম আসে না, কেমন জানি ভয় ভয় করে। আমার রুমে আমি একা থাকলেও ভয় করে না, অন্য রুমে আমি অভ্যস্ত না। প্রত্যেকটি রুম একটার সাথে আর একটা লাগোয়া, বড় উঠান, গাছ পালায় ভর্তি  বিশেষ করে আমগাছ বাড়ীটার সাক্ষী হয়ে আছে। বর্গক্ষেত্রের মত দেখতে, বাড়ীর ভেতরেও বাগান, বাইরেও বাগান, পিছনের দিকে বড় পুকুর আছে, সেটা ঘিরেও বাগান, তারপর ফসলের মাঠ, সামনের দিকে কয়েকটা মাটির বাড়ি, এরপর আর কোন বাড়ি নাই। এটা আমার দাদুর ঐতিহ্য। তিনি নাই আছে তার ইতিহাস। 

আমি রাত ১২টা ৪০মিনিটে ঘুমাতে গেলাম। বেশ কিছুক্ষণ গান শুনছিলাম, এরপর গান বন্ধ করে ঘড়ি দেখলাম রাত ১টা ১০মি. বাজে। আমার চোথে তন্দ্রা নেমে এলো । আর আমি আমাদের ঐ বাড়ির স্বপ্ন দেখলাম। আমাদের বাসাই খুব হই চই কাজিনরা এসেছে, মজা করছি। এরপর আমাদের বিছানা করে দিচ্ছে কাজের মানুষটা ভানু আপা। দেখি আমার রুম দখল করছে, আমি রাগে দুঃখে ওকে বললাম- শোন আমার রুমে কাউকে থাকতে দিস না, মা কোথায়? ও বলল- তার রুমে আছে, তোমার খালামনি এসেছে। আমি দৌড়াতে দৌড়াতে সেখানে গেলাম, খালমনিকে দেখে খুশি লাগলো আমার রাগ আর থাকলো না। এরপর আমার মনে হলো থাক ওরা আমার রুমে , অন্য রুমের কথা ভাবতেই আমার গায়ে যেন কেমন ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল, আমি ভানু আপাকে বললাম আমি মায়ে সাথে ঘুমাবো। মা আর  খালামনির মাঝে ঘুমাচ্ছি আর তখন আমার মনে হচ্ছে কে যেন আমাকে মেরে ফেলসে, শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে, একটুও নড়তে পারছি না। খুব জোরে আমি কাত হওয়ার চেষ্টা করছি, তারপর চোখ মেলে দেখি মা-খালামনি সামনে। ওরা বলছে কিরে স্বপ্ন দেখেছিস, আমি বলছি না, এরপর আবার চোখ বন্ধ করলাম ওদের সামনে, ঠিক আগের মত অবস্থা আমার, এবার আমি বেশ যুদ্ধ করে চলেছি, তারপর উঠে বসি বিছানার উপর আর আমার মা-খালামনি কেউ নেই, আমার সমস্ত শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে। 

আমি মাথার পাশে পানির বোতল ছিল, সেটা হাতে নিয়ে খেতে শুরু করলাম। মোবাইলে সময় দেখলাম ১টা ৪৮ িমনিট বাজে। আমার ঘোর যেন কাটছে না, বুকের মাঝে বেশ শব্দ হচ্ছে। বুঝতে পারছি না কি করবো। আমার বাবা-মা ঘুমিয়ে আছে, ওদের ডাকা ঠিক হবে না, সেটা ভেবে একজনকে ফোনটা দিব কিনা? ভাবছি, যদি একটু বুকের শব্দটা কমে। আর সাথে সাথে ফোন কল করেছি ? মনে হলো এবার আমার মনে হয় বকা খেতে হবে এই মধ্যরাতে ফোন করার জন্য, তবুও ভালো কেউ একজন তো একটু কথা বলল, আর সেটাই আমার সাহস। আমার ফোনটা রিসিভ হলো-ওপাশ থেকে বলছে, কি খবর? এতো রাতে? ঘুমাও নি? আমি ভয়েস শুনলাম শান্তই আছে, যাক একটা ভয় কাটলো। আমি বললাম- তুমি জেগে আছো? সে বলল-পড়ালেখা করি। আমি বললাম ঠিক আছে পড়ো, আমি তোমাকে এমনিতেই ফোন করেছিলাম। আমার কথা শুনে সে বলছে-তুমি কি ঘুমের মাঝে আমকে কল করেছো? জানো, এখন দুইটার মত বাজে? আমি বললাম- না, আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি, সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই। আচ্ছা বাই। এই বলে ফোনের লাইন কেটে দিলাম। আমি যে ভীতুর মত তাকে ফোন করলাম সেটা বলতে পারলাম না, কারণ এই নিয়ে আমাকে পচাঁ কথা শুনতে হবে। আমার আর ঘুম হলো না। যাকে ফোন করেছি , সে তো  কয়েকবার ফোন দিলো, কিন্তু আমি আর ফোন রিসিভ করি নাই। আমি নিজেই যখন বুঝলাম যে নিজের ভালোর জন্য অন্যকে ডির্স্টাব করাটা আমার ঠিক হয় নাই। পরবর্তী তে আমি ঠিক করেছি ক্ষমা চেয়ে নিবো।

আমি সারারাত ঘুমাতে পারি নাই, তাই ভোর-সকালে একটু ঘুমিয়ে পড়লাম, আর ঘুম ভাঙতেই মায়ের গলা শুনলাম, আমাদের বাসায় চুরি হয়েছে। আমি বললাম মা- কি কি চুরি হলো? মা বলল- তোর জিনিসপত্রই বেশি চুরি হয়েছে। যেগুলোকে তুই ১৫ বছর ধরে আগলে রেখেছিলি শৈশব থেকে সেই সব জিনিস গুলি। আমি মায়ের কথায় বিশ্বাস করতে পারছি না। পরে দেখি সত্যিই তাই। চোর আসলে আমার আর কি দোষ? আমাদের বাদশা(কুকুর) তো আর বাড়ী পাহারা দিচ্ছে না? সে মহারাজ আমাদের এখানে তার বাচ্চা-কাচ্চা পয়দা করে, সেগুলোর হাঁটা শিখিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছে সেগুলোকে সাথে নিয়ে। এখন আমরা তিন প্রাণী বাস করি। তাহলে চোরের তো একদিন হবেই। 

আমি মাকে বললাম- থাক ওগুলো আমার ভবিষ্যতের পথে অতীতের বাঁধা হিসেবে আসতো, আর চোর সেটা বুঝতে পেরে আমার জন্য ভালো কাজটাই করে গেলো,ধন্যবাদ চোর কে। এতোসুন্দর করে কাজ করার জন্য। আমার কথায় মা- বাবা হাসতে শুরু করলো। আমি রাতে যে স্বপ্ন দেখেছি ওটা আর বলি নাই।

দিনের হাওয়াই পাল ছেড়ে দিলাম, আকাশে রোদের ছটা ক্ষীন, ফাল্গুনি হাওয়ারা ছুটে চলেছে দারুন চঞ্চলতায়........  
মন খারাপের বিষন্নতায় .......................

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি