লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!


বাসায় ফিরলাম পরীক্ষা শেষে। ফেরার পথে ফেরিতে যখন গাড়ী উঠেছিল তখন গাড়ী থেকে নেমে ফেরির উপর দাঁড়ালাম। নদীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম যতক্ষণ ফেরি পার হয়ে ঘাটে পৌঁছায়নি। খুব ভালো লাগছিল নদীর ঢেউ আর বাতাসের উদারতা। সে এক দারুন অনুভূতি। ঐ মুর্হূত টুকু প্রকুতির সাথে মিশে ছিলাম। যেন আমার পৃথিবী জুড়ে ছিল সম্পূর্ন আমার রাজ্য। সময়টা ছিল গোধূলি লগ্ন। আর আকাশের অবস্থা ছিল মেঘ বলয়ের মাঝে নিবদ্ধ। 

আমার আশ-পাশের মানুষগুলি ছিল তাদের মাঝে। আমি সেদিকে কোন খেয়াল রাখি নাই। এরপর গাড়ী ছাড়ার সময় আমার সিটে বসলাম। কেউ ছিল পদ্মার ইলিশ কেনার মাঝে দেখলাম আমার সিটের পাশে জানালা দিয়ে। আমার শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। আমি সিটটা ফোল্ডিং করে চোখ বন্ধ করে রাখলাম। কিন্তু বুকে পিঠে বেশ যন্ত্রনা করে চলেছে। কিছুতেই ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছে বাসায় পৌঁছাতে পারবো কিনা জানি না। কিছুক্ষণ পরে আমার সমস্ত শরীরে যন্ত্রণার ঢেউ বয়ে চলেছে, আমি কোন শব্দ করতে পারছি না, কিন্তু চোখ দিয়ে সমানে জল গড়িয়ে পড়ছে। আর মনে হচ্ছে এমন অবস্থায় মানুষ কেন নেশা কিংবা নিজেকে অন্য কিছু দিয়ে হত্যা করতে চেষ্টা করে। আমার মনে হচ্ছে মৃত্যু কে সবাই কেন এই মুর্হূতে আপন করে নেয়। 

আমার পথ যেন শেষ -ই হয় না। মনে হচ্ছে আমি এই জনমে বাড়ীতে পৌঁছাতে পারবো না। মা কয়েকবার ফোন করে বলছে কি রে এখনও কত দেরি !!! আমি স্বাভাবিক ভাবে মাকে বলি মা রাস্তায় বৃষ্টি হয়েছো তো তাই গাড়ী ধীরে চলছে। তুমি টেনশন করো না আমি গাড়ী থেকে নেমেই তোমাকে ফোন করবো তুমি আর ফোন করো না। কিন্তু কে শোনে কার কথা, এর কথা বলার পরও তিনবার ফোন করা হয়ে গিয়েছে। আমি আর আমার কথা বলতে পারছি না কারণ আমার মা এমনিতেই অসুস্থ যদি বুঝতে পারে তাহলে সে প্রেশার বাড়িয়ে নিজেকে আরো রোগীতে পরিণত করবে। আমার এমন খারাপ লাগাটা রাস্তায় খুব কম ঘটেছে আজ কেন যে এমন হলো জানি না। নিঃশ্বাসটা যখন তখন চলে যেতে পারে , ভাবলাম আমার ব্যাগে ঠিকানাটা লিখা আছে কিনা, মনে হলো হ্যাঁ আমার ব্যাগের সাইড পকেটে -ই সেটা আছে। তখন নিশ্চিত হলাম আর ভাবলাম আমি মরলেও আমার ঠিকানা তো আছে, সেখানে আমার ডেড বডি পৌঁছে যাবে। 

আমি রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে গাড়ী থেকে নামতেই দেখি মা দাড়িঁয়ে। আমি বললাম তুমি এখানে কেন মা? আমি তোমাকে তো ফোন করি নাই নামার আগে। মা বলছে- তোর কাছে জানলাম তুই কতদূর আছিস, তারপর সময় হিসাব করে এই তো মিনিট দশেক আগে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। পাশে বাবাও ছিল। বলল তোর বাবা মার্কেটে যাবে তাই বের হলাম বাসা থেকে আর আমার বাসার মাঝে থাকতে ভালো লাগছিল না, খুব অস্থির লাগছে। আমি আর কথা বলতে পারছিলাম না। বাবা চলে গেল। মায়ের পাশে এক রিলেটিভ ছিলেন তিনি আমাকে দেখে বললেন সন্তান বাইরে থাকলে বাবা-মায়ের কত টেনশন হয় তা তোমরা বুঝতে পারবে না, তোমার আসার কথা শুনে তোর মা এখানে অনেকক্ষণ থেকে অপেক্ষা করছে। আমি ততক্ষণে মায়ের কোমর ধরে হাটছি, সেই সময়ে আমি কিছুটা স্বাভাবিক অনুভব করছি। এরপর আমি বললাম- মা আমি তোমাকে তো রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে বলি নাই এখন থেকে আর এটা করবা না। তখন রিলেটিভ বলছেন তুমি না বললে কি হবে তোমার মা কি আর সেটা শুনবে! উনি বেশ উপদেশ মূলক কথা বলে বাসায় গেলেন, আমি আর মা আমাদের বাসার দিকে হাটছি। মা বলছে পথে কোন অসুবিধা হয়নি তো আমি বললাম মা আমার কিছু হয় নাই তবে একটু খারাপ লাগছিল। তুমি টেনশন করবা তাই বলি নাই । মা কি রান্না করেছো , মা বলছে - কথা ঘুরাচ্ছিস কেন ? কি হয়েছে বল? আমি একটু অভিমানি করে বলছি - এই জন্যই তোমার কিছু বলা যায় না। দেখছো তো আমি ভালো আছি। বাসায় গিয়ে দেখ আমি কত খাবার খেতে পারি। মা বলছে- পরীক্ষা কেমন দিয়েছিস আমি বললাম বৃক্ষের ফলে পরিচয়। মা হাসছে- কারন মা এই কথা আমাকেই বলে। 

বাসায় এসে দেখি- অনেক গেষ্ট, আমার রুমেও। তাই আমার রুমে না গিয়ে মায়ের রুমে গেলাম, ওখানে বেলকনিতে বসলাম, সবাই মায়ের রুমে টেলিভিশন দেখছে। আমার তখন বেশ ভালো লাগছে, দখিনা বাসাসে শরীর, মন দুটোই ভিজিয়ে দিচ্ছে। আমার মা আমার জন্য খাবার রেডি করে ফেলেছে এরই মাঝে। আমি মাকে বললাম মা একটু পরে খাই। তারপর মা বেডে বসে ছিল পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। আর মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। পরে উঠে খেলাম মায়ের ধাক্কায়। 

রাত ১০টা ৩৫মিনিটের দিকে মায়ের রুম থেকে নিজের রুমে আসলাম। আর আসা মাত্রই বিছানাতে শরীর ছেড়ে দিলাম.........................................................................................................!!!!!!!!!!!!!!!!!

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি