লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

গাইব দেশের গান



নয়নের মাঝে স্বপনেরা ভিড় জমিয়েছে, দেশকে ভালোবাসার অনুপ্রেরণা। বিজয়ের মাসে মানুষ কিছুটা অবকাশ নিয়ে কাজ করে থাকে, পরিবারের জন্য সময় দেয়, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। আমরা বাঙালি, বাংলাদেশ আমার দেশ- এই কথাটি খুব কম মানুষই ভাবে। কিন্তু দেশ স্বাধীন হলেও আমার দেশের মানুষ কেন জানি দিনে দিনে নৃশংস হয়ে উঠেছে, সেই সুন্দর বাংলার রুপ আর নেই। 

প্রকৃতির সেই সাজ-সজ্জা নেই। ষড় ঋতুর দেশ আজ ৪টি ঋতুতে পরিণত হয়েছে, খাল-বিল শুকিয়ে মরুভূমিতে রুপ নিয়েছে, সেখানে গড়ে উঠেছে ইট-পাথরের দালান কোঠা। নয়ন জুড়ানো সবুজ আর নেই, প্রযুক্তির সুখ গ্রহন করতে সব কিছু বিলিনের দিকে। সেই সাথে আমরা বাঙালি এইটিও হারাচ্ছে, হয়ে উঠছে ধর্ম রীতিনীতির আবদ্ধতা, মানুষের তৈরী অনুশাষন। মায়া-মমতা দিনে দিনে লোপ পাচ্ছে। 

আমার এক রিলেটিভের কোচিং সেন্টার উদ্বোধন হবে, সেখানে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম কেন ডাকা হয়েছে। আমি তাদেরকে বললাম - আমি টিচিং দিবো না। ওরা আশা হতো হলো না কারণ ওদের প্যানেলে রাখা আছে কাউকে। প্রথম অপশানে আমি ছিলাম পরে অন্য কেউ। এরপর আমাকে তারা বললেন- ঠিক আছে তাহলে গান করতে হবে তোমাকে। আমি বললাম গান তো গাই না, কন্ঠও ভালো না। শুনে আমার মামা বললেন- বিজয়ের মাসে বিজয়ের গান করবা, এতে আবার কি সমস্যা। আমি দ্বিতীয় কথা ব্যয় না করে বললাম ঠিক আছে আমি দেশের গান করবো, যদি আপনাদের পছন্দ হয়। ওনারা তাতেই খুশি, আমি বাসায় ফিরলাম। আগামী ১৫ই ডিসেম্বর বিকালে গাইতে হবে।


আমি আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে হারমনিয়ামটা বের করলাম। পুরাতন গানের খাতায় পিচ্ছিল ধূলা ময়লায় আবদ্ধ। আমি মুছামুছি করে খাতার পৃষ্ঠা উল্টাতে শুরু করলাম। কিন্তু কি গান করবো সেটা নিয়েই ভাবছি। কয়েক পৃষ্ঠা উল্টাতেই চোখে পড়লো একটা গান, ওটাই চর্চা করতে শুরু করলাম।

ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ওসে স্বপ্ন দিয়ে তৈরী সে যে স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাক তুমি
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।।

পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখী
কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখী
গুঞ্জরিয়া আসে অলি
পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে
তারা ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে
ফুলের মধু খেয়ে।।

এমন স্নিগ্ধ নদী কাহার 
কোথায় এমন ধূম্র পাহাড়
কোথায় এমন হরিৎ ক্ষেত্র
আকাশ তলে মেশে
এমন ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলে যায়
বাতাস কাহার দেশে।

ভায়ের মায়ের এত স্নেহ
কোথায় গেলে পাবে কেহ
ওমা তোমার চরণ দুটি
বক্ষে আমায় ধরি
আমার এই দেশেতে জন্ম মাগো
এই দেশেতে মরি।।

এটার পর 
সবুজ ধানের শীষে 
সেই তো আমার দেশ
রাখালীয়ার বাশির সুরআর 
নদীর স্রোতের বেশ
সেইতো আমার ..........দেশ
বাংলাদেশ-বাংলাদেশ-বাংলাদেশ।।
.........
....
...

নদীর বুকে মাঝির মুখে 
ভাটিয়ালি সুরে
মন যে আমার উদাস করে
ছোটে তেপান্তরে
এই যে আমার ছন্দে ভরা সোনার বাংলা।।

এরপর
একবার যেতে দেনা আমায় ছোট্ট সোনার গায়
............................................................
নদী যেথায় ছুটে চলে আপন ঠিকানায়।।

বিজয়ের গান পেলাম ওটাও গাইলাম
সেই ছেলেটা যুদ্ধে গেল
যুদ্ধ শেষে ফিরে এলো 
কি হলো তারপর
তোমরা শোন সে খবর।।
.....................................
.................................

আমার গলা ধরে এলো আর গাইতে পারলাম না। ওনেকদিন কন্ঠে ঘষা মাজা হয় নাই তাই গলা ধরে গিয়েছে। আমি ব্লগে লিখতে শুরু করলাম।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি