লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

ছানাগুলি শীতে খুব কাঁপছিলো।

অনেক দিন পর আমার প্রিয় একজন শিল্পীর গান শুনতে ইচ্ছা হলো। গানটা শোনার জন্য ল্যাপটপের আর্ক্রাইভে খুঁজলাম পেলাম না। এরপর ডাউনলোড করতে দিলাম, নেট স্পিড খুব শোচনীয়। নেটবার তিন দাগ পর্যন্ত আছে। ঔ অবস্থায় রেখে আমি বাইরে গেলাম, ফিরে এসে দেখি তখনও লোডিং চলছে। প্রায় ১ ঘন্টা পরে লোডিং শেষ হলো, ততক্ষণে আমার গান শোনার আকাঙ্খা শেষ।

একদিন পরে, আমার মনটা প্রচন্ড খারাপ। বাসায় এটা সেটা করছি কিন্তু কিছুই ভালো লাগছে না। যা কিছু করছি কোন মনযোগ নাই, যেন ভেতরের ইচ্ছা শক্তিগুলো সব বিলীন হয়ে গিয়েছে। মনকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বই পড়ছি, মুভি দেখছি, মাঝে মাঝে কুকুর ছানার সাথে খেলছি। ওগুলো খুব দুষ্টু। ছানা গুলোর বয়স ১মাস ১১দিন।

আমি ওদের সাথে খেলে খুব মজা পাচ্ছি। দেখলাম ওদের সাথে খেলে আমার মন খারাপ নাই। ওরা সংখ্যায় ৫।
আমার সামনে ছানাগুলি একবার এগিয়ে আসে আবার পিছিয়ে যায়, আমি অন্য দিকে ফিরলে আমার পায়ে শুড়শুড়ি দেয়। কি এক অদ্ভুত ব্যাপার । আমাদের বাসায় আগে কখনো এমন হয় নাই। 

ছানাগুলির জন্ম মুহূর্ত পর্যন্তও জানি না আমাদের বাসায় ওদের মায়ের অবস্থান। আমাদের বাসায় আমরা ‍তিনজন ছাড়া আর কেউ নাই। মামাদের বাসা থেকে মাঝে মাঝে ওরা কিছু ক্ষণের জন্য এসে চলে যায়। বাসার বাইরের গেট দেওয়া ছিল না, মা কুকুরটা আমাদের বাসায় কিচেনে ঢুকে পড়ে কিন্তু আমরা সেটা খেয়াল করি নাই। মা কুকুরটি চুপটি করে কিচেনের কর্ণারে জায়গা করে নিয়েছে। ঐদিন রাত ৮টার দিকে বাবা-মা ডাইনিং টেবিলে খেয়ে উঠে পড়ে, কিচেনের দিকে পা বাড়ায়নি। আমার ক্ষুধা পায়নি সে কারণে আমি খেতেও যাইনি। একটু কাজ করছিলাম যেটা শেষ করতে রাত ১১টা বেজে যায়। । ঐ সময় বেশ শব্দ শুনতে পেলাম। রুম থেকে বের হয়ে বুঝলাম কিচেনের ভেতর থেকে আউয়াজ আসছে। 
মা কুকুর বাচ্চা প্রসবের পর সেগুলোকে কোলে নিয়ে শুয়ে আছে, ছানাগুলি মায়ের কোলে থেকে একপ্রকার শব্দ করে চলেছে। আমি তখনই মাকে ডেকে বললাম- তোমার বাসায় অতিথি এসেছে। মা না বুঝে আমাকে বলছে কে? আমি তাকে কিচেনে নিয়ে দেখালাম । মা তো প্রচন্ড রাগ, এইসব নোংরা জিনিস থাকলে চলাফেরা করা যাবে না আর রান্না করবো কিভাবে? আমি হাসছি দেখে তার রাগ আরও বেড়ে যাচ্ছে।

পরের দিন ওদের একটা ব্যবস্থা করলো বাবা। ফ্লোরে বালু দিয়ে, তার পাশ দিয়ে তুলা ছড়িয়ে দিলো যাতে ছানাগুলোর ঠান্ডা না লাগে। এখন তো শীত পড়ছে। মায়ের রান্নার জন্য ফ্লাটের কিচেন ছেড়ে বাইরে রান্নার একটা ঘর আছে সেখানে মাটির চুলায় রাধতে বলা হলো। এ ব্যাপারে বাবা আর আমি তাকে সাহায্য করবো বলে নিশ্চিত করলাম। মাটির চূলায় তখন রান্না হয় যখন বাসায় কোন অনুষ্ঠান হয়। এছাড়া এটি পড়েই থাকে অথচ মা কুকুরটা এখানে থাকতে পারতো কিন্তু সে আমাদের বাসার ভেতরের কিচেন দখল করেছে। 

মা কুকুরটাকে নিয়ম করে তিন বেলা খেতে দেওয়া হয়। ছানাগুলি খুব সুন্দর হয়েছে দেখতে। 

গতকাল ছানাগুলির মা আমাদের বাসার বাইরে বের করে নিয়ে যায়। ওরা বাইরে গতকালই প্রথম বের হয়েছে। কয়েক ঘন্টা ওরা খেলা করে বাসায় ফিরতে ড্রেনের ভেতর পড়ে যায়, আমার মা সেটা দেখে আমার ডাক দিচ্ছে, মনি তিনটা ছানা ড্রেনের ভেতর পড়েছে । আমি রুমেই ছিলাম দৌড়ে গেটের বাইরে গেলাম, ছানাগুলি হাবুডুবু খাচ্ছে। আমি কিছুই পাচ্ছি না যে ওদের তুলবো। মা একটা কোদাল দিয়ে বলল ওটা দিয়ে তোল । আমি তাই করলাম, ঠিক তুলতে পারলাম। ড্রেনের গভীরতা ছিল অনেক, ছানাগুলিকে ড্রেন থেকে তুলে ভালো করে গোসল করালাম, তারপর রোদে দিয়ে আসলাম। ওর মা খুব চিৎকার করছিলো ছানাগুলোর পরিণতি দেখে, ছানাগুলি শীতে খুব কাঁপছিলো। 


আমার বাবা বাজার করে বাসায় ফিরে ছানা গুলোকে দেখে বলছে- এগুলোর এই অবস্থা কেন? মা তখন ওদের কাহিনী শোনালো। বাবা ছাদে গিয়ে কাঠ নিয়ে নিচে নামলো, তারপর ড্রেনের খোলামুখগুলো ঢেকে দিলো, ছানাগুলো না পড়ে। 

এখন ছানা গুলো খুব দুস্টুমি করে, আমাদের জুতা গুলো ওদের কারণে রাখার মত নাই, সেগুলো কোথায় রাখবো আগে ভাবতে হয়।
   

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি