লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছি


মানবশূন্য এক পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছি আমি। আমার পেছনে উত্তাল নদী, সামনে গাঢ় সবুজ বন, আর যতদূর চোখ যায় কোনও জনবসতি চোখে পড়ে না। আকাশটাকে মনে হচ্ছে একেবারে হাতের নাগালে, হাত দিয়ে যেন সেটাকে স্পর্শ করতে পারি। নদীর ঠান্ডা বাতাসে আমার সমস্ত শরীর জমে আসছে। চারিদিকে চোখ বুলাচ্ছি কিন্তু কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। আমি ভয়ে দৌড়াতে শুরু করলাম।

হঠাৎ পাহাড়ের গায়ে পা পিছলে পড়ে গেলাম, উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না, মনে হলো আঠার সাথে আমার দেহ আটকে আছে.................আমি রুমের মেঝেতে পড়ে আছি। রুমের লাইট দেওয়ার মতও অবস্থা নেই। আমার হাতে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছি। আমার মা দরজায় ধাক্কা ধাক্কি করছে। 

আমি দরজা খুলতে - মা আমাকে বলল আজ আবার কি হলো? এমন শব্দ হলো কেন? আমার হাতের দিকে লক্ষ্য করে বলল এখানে ফোলা কেন? আমি আর কিছু বলতে পারছি না। মা বুঝে গেছে আমার আর বলা লাগলো না। বুঝতে পেরেই বকা শুরু করলো। আমি কেন ঐ সব সিনেমা দেখি যা সহ্য হয় না, সারারাত ঘুমাতে পারি না। এরপর আমি বললাম - মা হাতে বেশ ব্যাথা করছে। প্রথমে যখন পড়ে যাই তখন আমার হাতটা অবশ ছিল পরে আস্তে আস্তে ব্যাথা আরম্ভ হয়েছে। মা বলল আমার সাথে থাকবে । আমি বললাম মা আমি একাই পারবো কিন্তু কে শুনে কার কথা। 

আমি গতকাল অনেক গুলো মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা দেখেছি। আমার মামা বাড়ি পাশে , তাই মামাতো ছোট ভাই বোনদের নিয়ে সিনেমা দেখে কাটিয়েছি। ওরাতো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানে না, সেটা জানা ওদের অধিকার আছে। আমি দেশের গান করবো জেনে ওরা আমার কাছে অনেক প্রশ্ন করেছিল দেশ নিয়ে তাই সুযোগটা হাতছাড়া করি নাই, দেশের গল্প, সত্যিকারের ইতিহাস বর্ণনা করতে। 

আমি মুক্তিযুদ্ধের ‍সিনেমা দেখলেই আমার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় পাকহানাদার বাহিনীর বর্বরতার কারণে । ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে দেখি ওদের অত্যাচারের রুপ যা খুবই বিভিষিকাময়। আমি এই ধরণের মুভি দেখলেই আমার চোখের জল গড়িয়ে পড়ে, গলায় বাষ্প নামে। 

ছোট বেলাতেও আমি স্বপ্নের মাঝে কেঁদে উঠতাম। মা আমাকে নিষেধ করতো এই সব সিনেমা দেখতে। যখন মহামানবদের জীবনী পড়তাম তখন বঙ্গবন্ধুর জীবনী আমাকে বেশি করে কষ্ট দিতো। কি মহান ব্যক্তি যার এক কথাতেই সব শ্রেণীর মানুষ যুদ্ধে নেমে পড়ে এই দেশ থেকে হায়েনা মুক্ত করতে।

 আমি বাবার কাছ থেকে, স্কুলের শিক্ষক থেকে, প্রতিবেশি আংকেল থেকে জেনেছি বাংলার ইতিহাস, বাংলার স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার কথা যা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভুলতে পারবো না। আমার সংগ্রহে রেখেছি ঐসব ইতিহাস।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি