লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

পরিবর্তন


রাতে দেরিতেই ঘুমিয়ে ছিলাম। গাঢ় ঘুমের মাঝে ছিলাম, হঠাৎ কুকুরের চিৎকারের জন্য আমার ঘুম ভেঙে যাই। বেড থেকে উঠে আমি রুমের লাইট জ্বালিয়ে দিলাম, এরপর দরজা খুলে বাইরে বের হলাম। বাসার চারিদিকে চোখ বুলালাম কিন্তু কিছুই দেখতে পেলাম না। কুকুর বাসার পাশের বাগানে চিৎকার করছিল, আমার আউয়াজ শুনে থেমে গিয়েছে। আমাদের বাসার কাজ চলছে সেই উপলক্ষে বিভিন্ন জিনিস পত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তাই ভাবলাম হয়তো চোর কিছু চুরি করতে আসতে পারে। বর্তমানে দেশের যে অবস্থা তাতে মনে হয় এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। 


গত ২ দিন আগে দুপুর ২টার পরে আমি ডাইনিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে সালাদ তৈরী করছি ঠিক ঐ মুহূর্তে একটি মেয়ে আমার সামনে এসে, আমার কাছে অনুমতি চাইছে সে আমার সাথে কিছু কথা বলবে। আমি তাকে বসতে বললাম, সে জানালো তার সময় নাই। আমি বললাম তাহলে বলুন কি বলবেন? দেখুন আমি একটা পত্রিকা ও খবরের কাগজ নিয়ে এসেছি মাত্র ১৫ টাকা,  সীমিত লাভে আপনাদেরকে দিচ্ছি এটা পড়ে দেখুন আপনাদের ভালো লাগবে, পড়ার পর দেখবেন এখান থেকেই আপনি দৈনিক সংবাদপত্র কিনবেন, এটা আমার বিশ্বাস। শোনার পর আমার প্রতিক্রিয়া - সংবাদপত্রের প্রতিদিন তারিখ পরিবর্তন হয় কিন্তু সংবাদ তো পরিবর্তন হয় না, যা দেখি তাই তো থাকে। আমাদের বাসায় প্রতিদিন খবরের কাগজ নেওয়া হচ্ছে কিন্তু সেটাই ঠিকমত পড়ার কেউ নাই । আপনার কাছ থেকে ওটা নিলে ওইভাবেই পড়ে থাকবে, আপনাকে দয়া করা হবে। আমার কথায় সে বিরক্ত হয় নাই বরং নিজেই বলল আসলে আমরা বেকার মানুষ কোন চাকরি নাই, কন্ট্রাকে আমারা গ্রুপে কাজ পেলাম সেটা হকারদের কাজ, আজ পেটের দায়ে পথে নামলাম, মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে সংবাদ পত্র প্রচারণার কাজ, বিনিময়ে কিছু আয় হচ্ছে আর কোম্পানির টার্গেট পূরণের ফলে আমাদের আয় হচ্ছে। 

আজ আমাদের জীবন-যাত্রার মান খুব একটা ভালো না। ১ জনের আয়ে সংসার চলে না। প্রত্যেককে কিছু না কিছু করতে হচ্ছে। সংবাদে আমাদের মত সাধারণ মানুষের কথা উঠে আসে না আসে শুধু সাজানো কাহিনী, প্রতিহিংসার রাজনীতি, সম্পদের ধ্বংস আরও কত কাহিনী। আপনি ঠিকই বলেছেন সংবাদপত্রের দিন তারিখ পরিবর্তন হয় কিন্তু সত্যিকারের সংবাদ খুব কমই পরিবর্তন হয়। আমি তাকে বললাম আপনি আমার কথায় কষ্ট পাবেন না। সে হাসি দিয়ে বলল আসলে আজ মাস্টার্স পাস করেও আমাদের মত মানুষ সৎ ভাবে একটু ভালো করে বাঁচবো বলে পথে বের হয়েছি কিন্তু সেখানেও অসততা। আমি যে উদ্যগে এই কাজটা নিয়েছি সেখানেও আমাদেরকে ঠকানো হচ্ছে। সৎ ভাবে বাঁচার দিন মনে হয় নাই। কথা শেষে সে বিদায় নিলো। 

আমার মনে হল আমাদের সামনে আরো কি পথ দেখার আছে? 

যেখানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের তৈরী সামগ্রী বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন ভাবে বাজারে তার নমুনা ছাড়তো আর ক্রেতা সেটা ভালো কিনা যাচাইয়ের জন্য সেগুলোকে নিয়ে ব্যবহার করে দেখতো গুনাগুন ভালো না মন্দ। আজ মেয়েদের দিয়েও সেই কাজটা করছে সংবাদ পত্রের অফিস কিন্তু সেটা সহজ উপায়ে নয় বিভিন্ন শর্ত আরোপ করে। 

অর্থ ছাড়া মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। কিন্তু এই অর্থের জন্য আমাদের দেশ আজ চরম স্বার্থপর মানুষের কাছে নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধিতে পরিণত হয়েছে। আমরা যে সুন্দর দেশে বাস করতাম তা আজ যন্ত্রণার রুপে পরিণত হয়েছে। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষের জীবন আজ রোবট ও কর্পরেট জগতে পরিণত হয়েছে। দিনে দিনে প্রেম-ভালোবাসা, মায়া-মমতা হারিয়ে যাচ্ছে। পরিবারের মানুষের জন্য একটু সময় নাই ভালো মুহূর্ত কাটানোর। অথচ এই পরিবার বাঁচানোর জন্যই মানুষ ছুটে চলে উর্পাজন করতে। প্রত্যেকটি মানুষই মরণশীল এই গড়া জিনিস তো ভোগ করা হবে না তাহলে কেন এতো কষ্ট করা।

আমরা বাঙালি, বাংলাদেশ আমার দেশ এই চিন্তা চেতনা নিয়ে আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখা। সবাই সবার সহযোগী হয়ে সাহায্যের হাত বাড়ানো। কোন শর্ত ছাড়াই।

আমার রাতে ঘুম আসেনি। মা-বাবা কিছুক্ষণ পরে উঠে বাসার চারিদিকে ঘুরে আসলো। আমি রুমের লাইট জ্বেলে রেখেছি বলে আমাকে ডাকলো। আমি বললাম টেনশান করো না কালই কাজ শেষ হলে তো 
জিনিসপত্র গোছানো হয়ে যাবে তখন কেউ আসবে না।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি