লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

সেই নভেম্বর..

















শীতের আগমন ঘটেছে বেশ আগেই, কিন্তু অনুভূতির জায়গাটা দখল করে আছে সেই দিনগুলি।
এই আমি--- রাতের খাবার যখন শেষ করি তখন রাত১১টা বেজে যায়, এরপর ব্রাশ করা, হাতমুখ ধোয়া। ঠান্ডা পানি মুখের উপর ঝাপটা দিতেই একটা উত্তরে হা্ওয়া এসে ছড়িয়ে পড়ে আমার মুখে, আর তখনই আমার হৃদয় স্পর্শ করে যায় অতীতের কিছু মুর্হূত, যা এই জীবনে দ্বিতীয়বার ফিরে আসবে না। আমি কেমন যেন একটা বিষন্নতা বোধ করছি আবার কেমন যেন ভালো লাগারও ছন্দ তাল অনুভব করে চলেছি। ঠিক যে কিসের মাঝে দোদুল্যমান বুঝতে পারছি না। তাই আর দেরি না করে রুমে গেলাম, মাকে বললাম- মা তুমি তোমার রুমের দরজা দিয়ে দাও,  বাবার আসতে ১২টা পার হয়ে যাবে। আমি আমার রুমে আসলাম, এরপর আমার রুমের দরজা বাইরে থেকে লক করে ছাদে আসলাম। ছাদে আসার পর দেখি বেশ অন্ধকার, কিছুটা আলো এসে পড়েছে রাস্তার রড লাইট থেকে। প্রকৃতি পুরোপুরি ভাবে নিরব। আমাদের এই স্থানটি মফস্বল শহরের ছোঁয়ায় আর্বতিত (না শহর না গ্রাম)।
রাত ১১টার পরে রাস্তায় খুব একটা মানুষ চলাচল থাকে না। শুধু মাত্র যারা ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, নেশা খোর, আড্ডাবাজ এই ধরনের মানুষকে মাঝে মধ্যে রাস্তায় চলতে দেখা যায়, তবে শীতের রাতে একটু কম থাকে। আমার বাবা ব্যবসায়ী, সারাদিন বিক্রয় চলে বাকীতে আর রাতে চলে সেই বিক্রয়ের সংগ্রহ। এই কারণে বাবার বাসায় ফিরতে রাত ১২টা বাজে। আমি বাসার ছাদে হাঁটছি বাবা ফেরার আগ মুর্হূত পর্যন্ত। 

আমাদের ছাদটার পরিধি বেশ বলা চলে, সাড়ে ৪ শতকের উপর বাড়ী। ছাদে আমি এক প্রান্ত থেকে অন্য  প্রান্তে হেঁটে চলেছি। হাঁটার সময় কনকনে হাওয়া আমার গায়ের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। আর আমি ঐ স্মৃতি গুলোকে হাতড়িয়ে চলেছি হাঁটার মাঝে নিজেকে আড়াল করে সেই সময়ে......................................

আজ(২৬.১১.২০১৩ইং) থেকে পাঁচ বৎসর আগে এই নভেম্বর মাসে। আমি গাঁয়ের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বাড়ীতে সবাই ছিল, বিশেষ করে আমার কাকাতো ভাই-বোনেরা। ওদের সাথেই আমার সময় খুব ভালো ভাবে কাটে। শীতের বিকালে আমরা আমাদের মাঠের জমিনে যাই খেজুরের রস খেতে, নৌকা করে ঘুরে বেড়াতে, ফেরার পথে মাঠে যেসব পাহারাদারের কুঁড়ে ঘর আছে সেখানে গিয়ে আগুনের তাপ নেওয়া, তারপর মৃত লাউ গাছের ডগা বিড়ির মত করে কেটে আগুনে ধরে মুখে নিয়ে ধোঁয়া ছাড়া। 

গাঁয়ের মানুষ সাধারণত রাত ৮টা বাজলেই ঘুমের দেশে পৌঁছে যায়। আমরা রাতে খেতাম ৯টা.৩০মিনিট থেকে ১০টার মধ্যে। খাওয়ার পর আমরা হাঁটতে যেতাম। হাঁটতে যাওয়ার সময় হতো যত কাহিনী..........

আমার বয়সে ছোটগুলো আর বেশি সাহস পেত না বাইরে থাকার কারণ সকালে উঠে ওদের কাজে বের হতে হবে, আমার থাকতো অফুরন্ত সময় ছুটি কাটানোর, তাই ওই বিষয়ে মাথা ঘামাতাম না। বাবা-মা তো আমার সাথে নাই যে বকা দিবে। আমার কাজিনের ফ্রেন্ডদের সাথে অনেক আগে থেকে আমার পরিচয় ছিল, ওরা প্রত্যেকে আমার সাথে খুব মজা করতো, আমিও তাই। শীতের রাতে ওরা দল বেঁধে গানের আসর বসাতো আমাদের স্কুলের মাঠে, ওটা চলতো অনেক রাত অবধি, ঘাসের মাঝে শিশির জমে থাকতো তার মাঝেই আমরা বসে পড়তাম, নিস্তব্ধ প্রকৃতি, আমরা তরুন দল বসে সমানে গেয়ে চলেছি যার যত প্রিয় গান, গান শেষে আমরা হাঁটতাম রাস্তার মাঝে।

সেদিন হাঁটতে হাঁটতে আমরা বেশ দূরে চলে গিয়েছি , তখন রাত ১টা ৪৫মিনিট বাজে। আমি তখন ওদের বললাম রাত বেড়ে যাচ্ছে ভাইয়া, আমাদের বাসায় ফেরা উচিৎ। আমার কথায় আমাকে ওরা দাদী আম্মা আরো কত কিছু বলে ক্ষেপানো শুরু করলো। পরে ওদের থামিয়ে বললাম বাসার গেট খুলবে তো?
তোরা তো আমাকে এতো কিছু বলছিস? তখন তার প্রতি উত্তরে বলছে-- তুই আছিস কেন? তোর কথা বলবো, সব দোষ তোকে দিব, তাইলে তো আর কোন সমস্যা নাই। আমি বললাম- তোরা বেঁচে যাবি কিন্তু আমার বাসায় এই নিউজ গেলে গাঁয়ে আর কখনও আসতে দিবে না। চল বাসায় ফিরে যাই, যেতে আধা ঘন্টা লাগবে। আমার কথায় সবাই রাজী হলো। আমরা ব্যাক করলাম, আমাদের সামনে তখন কুয়াশার জালে আচ্ছন্ন, চাঁদের বুড়ি মনে হয় লেপ কাঁথা জড়িয়ে বসে আছে তাই আকাশটা মেঘাচ্ছন্ন মনে হচ্ছে। আমাদের গায়ে শীতের ভারি পোশাক জড়ানো তবু মনে হচ্ছে কেউ যেন ঠান্ডা পানি দিয়ে আমাদের শরীর ভিজিয়ে দিচ্ছে। 

মিনিট পাঁচেক হাঁটার পর আমাদের সবার পা ভারি হয়ে আসছে, কেউ ভালো ভাবে হাঁটতে পারছি না প্রচন্ড ঠান্ডায়। হঠাৎ কোথা থেকে ঠান্ডা কনকনে বাতাস সবাইকে ছুঁইয়ে দিল, আমার ওই মুর্হূতে কেমন যেন বাতাসটার প্রতি অন্যরকম ভালোলাগা তৈরী হলো, যা হয়তো লিখে বোঝানো যাবে না। আমার মতো ওদের হলো কিনা জানি না তবে সুমন কাকু, যে ছিল ভাইয়ার বন্ধু সে দেখি গান শুরু করে দিলো---পাগলা হাওয়ার তরে মাটির পিদিম নিবু নিবু করে, ওরে ওরে হাওয়া থাম নারে ........( জেমসের গান)।

ঝড়ো বাতাসের মাঝে কুয়াশাবৃষ্টি শুরু হলো, আমাদের হাঁটার গতি কমে গেল। সবাই যে যার মত করে অনুভব করছি কুয়াশা বৃষ্টিকে। আমি November Rain Song টি মনে মনে গান করছি................................
আমাদের বাসায় পেীঁছাতে ২টা ৪৫মিনিট বেজে গিয়েছে, আমরা সবাই ভিজে গিয়েছি। ভাইয়ার বন্ধুরা আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল। বাসায় এসে ছোট কাকীকে ডাকছি- ছোট আম্মু দরজা খুলে দাও। ছোট আম্মু গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, বেশ কয়েকবার ধাক্কা-ধাক্কি করলাম দরজায় । বেচারা দরজা খুলে ভাইয়ার উপর চড়াও হয়েছে কারণ রাত তখন ৩টা বাজে। ভাইয়া আমার উপর সব দোষ চাপিয়ে দৌঁড় দিলো ওর রুমে, আর আমি ফ্রেশ হলাম তারপর কিছু খেলাম, খাওয়ার পর ওষুধ খেলাম। কিন্তু ছোট আম্মু একটু পর পর আমাকে আর ভাইয়াকে বকা দিচ্ছে, আমার কোন কিছু হলে বাবা-মাকে কি বলবে এটা আর ভাইয়াকে বলছে সব নাটের গুরু এই পাজি ছেলেটা, সব জায়গায় নিয়ে যাবে, এটা সেটা....................
.............................................................


আমি ছাদে হাঁটছি, অথচ আমার পুরো মুর্হূত ওই সময়ের মাঝে আটকে গিয়েছে-
বাতাসের সেই গন্ধটা, সেই ঠান্ডা অনুভূতিটা যেন অন্যরকম হয়ে আছে আমার কাছে। 
When i look into yours eyes
I can see a love restrained
But darling, when i feel the same......................................


Don't you think that you need somebody?
Don't you think that you need some one?
You are not the only one
You are not the only one..............................................
............................................................
...............................
..............

মনে মনে বিড় বিড় করে গান টা করার চেষ্টা করছি, গানটা আমি কেন যেন ভুলে ছিলাম, এখন স্বচ্ছ জলের ন্যায় মনে হচ্ছে---------

বাসার সামনে বাইকে আউয়াজ শুনতে পেলাম, উপর থেকে-ই দেখলাম কে ? একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। মনে হলো তাহলে বাবার কাছেই এসেছে, আমি আর দেরি করলাম না, সিড়ি দিয়ে নামতেই বাবার কন্ঠ শুনলাম। তখন শিউর হলাম। ফিরলাম রুমে। এসেই লিখতে বসলাম আমার সেই দিনের জমানো স্মৃতিকে। এখন শুধু নভেম্বর রেইন বেজে চলেছে সারাক্ষণ মনের মাঝে।





(২৬তাং লেখাটি পোস্ট করা হয়নি কারণ লেখা শেষে পোস্ট দিতে গিয়ে দেখি নেটের গতি খারাপ, কয়েকবার পোস্ট দিলে লেখা উঠে আপনার পোস্ট প্রকাশ করার সময় ১টি ক্রটি ঘটেছে,  আজ গতি মনে হয় ভালো আছে ।) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি