লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

জীবনের কিছু বিপন্ন মুর্হূত ৩ (পূর্ব প্রকাশের পর......)


বহ্নি ণখমার মুখোমুখি হওয়ার ও কথা বলার চেষ্টা করেছিল কিন্তু ণখমা সেটা করেনি পালিয়ে বেড়িয়েছে। বহ্নির সমস্ত পৃথিবী আধাঁরে মিশে গিয়েছে যে ঝলমলে দিন ছিল সে গুলো তার মিলিয়ে গেল নিমিষেই। ঘটনা শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে আর তার সমাপ্তি ঘটলো ২০০৮ সালে এসে। 

মাঝের সময়টা খুব খারাপ ভাবে ঘটলো। ওর মাথাটা সব সময় কি এক টেনশনে আবদ্ধ থাকতো। কিছুদিন পরে তার দিদির সেই প্রতারক, ঠকবাজ লোকটার সাথে বিয়ে হয়ে গেল। ঘটনাটা কোন দিন আর প্রকাশ হলো না। কোন প্রতিবাদ ছাড়াই লোকটা বেঁচে গেল। বিষয়টা জানতো বহ্নির ৪ জন রুমমেট, দিদি আর প্রতারক লোকটা।   

দিদির বিয়ে করতে হলো সমাজের বেঁধে দেওয়া নিয়মের জন্য। কারণ সে লোকটাকে দীর্ঘদিন ভালোবেসে বিশ্বাস করে সব কিছু বিলিয়ে দিয়েছে এখন সে অন্য জনকে গ্রহন করতে পারছে না। তার সাথে যা কিছু হয়েছে সেটাকে সে বাদ দিয়ে চলতে পারছে না। বিয়ের পর মেজ দিদি সুখি হয় নি কিন্তু উপরে উপরে সে সুখি হওয়ার ভান করে। কে আছে জগতে? যে বিশ্বাস নিয়ে মানুষ সব কিছুকে আকড়ে ধরে সেই বিশ্বাসকে যে ভংগ করে তাকে কি হিসেবে বা কোন চোখে দেখে? 

এদিকে বহ্নির আর সেই বাধ ভাঙা হাসি নেই আছে শুধু একরাশ বিষন্নতা। বহ্নি নিজেকে আড়াল করার জন্য একটা কোম্পানির চাকরিতে ঢুকে যায়। 














১ বছর চাকরির পর ঐ অফিসের এক কলিগের সাথে একটা ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একদিন কলিগের বাসায় দাওয়াত থাকে সেখানে ও যায়। বন্ধুর নাম শামন্ত। শামন্তর মা বহ্নিকে দেখেই পছন্দ করে ছেলের বউ হিসেবে। বহ্নির কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বহ্নির বাসায় অর্থাৎ বহ্নির গ্রামের বাড়ীতে যায়। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪ঘন্টা ৫০মিনিট। বহ্নির খারাপ লাগে না। কারণ শামন্ত একাই ওর কোন ভাই বোন নাই। দুই পরিবারে পাকাপাকি কোন কথা হয় না তবে ঠিক করে কোন একটা শুভ দিন ডেকে আর্শিবাদের দিন ঠিক করবে। ওরা দুজন তখন ফোনে দুজনের খোজ খবর নিতে থাকে। 

কিছুদিন পর শামন্ত অফিস পরিবর্তন করে। নতুন অফিসে যাওয়ার পর শামন্তর সাথে আর দেখা হয়নি। নতুন অফিসে যাচ্ছে ১মাস। ওদের দুজন সিদ্ধান্ত নেয় আগামী শুক্রবার দুজন দেখা করবে। কথাও ঠিক, কিন্তু শামন্ত ঐদিন সকালে বাইকে একসিডেন্ট করে।তিন দিন পর বিকালে খবর পায় বহ্নি একজন কর্তব্যরত নার্সের কাছ থেকে। বহ্নি কিছুক্ষণ পর পর ফোন দেয়, দেখে মোবাইল বন্ধ, তিন দিন পরে বিকালে খোলা পায়, ঠিক তখনই নার্সটি বহ্নিকে জানায়। শামন্তর মা বাবা এসে শামন্তকে টাঙ্গাইলের বাসায় নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মোবাইলটা হাসপাতালে ফেলে রেখে গিয়েছে। শামন্তর পা ভেঙে গিয়েছে, ওটা ঠিক করতে ৬ মাস লাগবে। 

বহ্নির সাথে কোন যোগাযোগ নাই । হঠাৎ একদিন শামন্তর মা বহ্নিকে ফোন করে সব কাহিনী বলে। এরপর শামন্ত নতুন নম্বর দিয়ে বহ্নির সাথে যোগাযোগ করে। দেখতে দেখতে  অনেকটা সময় পার হয়ে যায়, শামন্ত সুস্থ হয়ে যায়। বহ্নির মাস্টার্স ফাইনাল শেষ হয়ে যায়। পরীক্ষার আগে ও চাকরী ছেড়ে দেয়। 
এখন বেশ চিন্তায় পড়ে যায়, হলে তো আর থাকা যাবে না বেশিদিন কি করবো, শামন্তর পরিবার থেকেও কিছু বলছে না! 





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি