লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

জীবনের কিছু বিপন্ন মৃর্হূত ২ (পূর্ব প্রকাশের পর)



...................................................................................................................................................................
...................................................................................................................................................................

পরের দিন সকালে বহ্নি ফ্রেশ হয়ে বসে মোবাইল টা হাতে নিয়ে ভাবছে, এখনই বাবা কে বিষয়টা জানাতে হবে, তার আর ণখমার বিয়ের ব্যাপারে। দিদির আশায় থেকে কিছু হবে না। যখনই ডায়াল করবে ঠিক সেই মুর্হূতে তার মেজ দির ফোন আসে, ও প্রথমবার রিসিভ করেনি, দ্বিতীয় বার ফোন বেজে উঠলে তখন অবহেলা ভরে ফোনটা রিসিভ করে। রিসিভ করেই জিজ্ঞেস করে- কি হয়েছে? এতো ফোন দিচ্ছিস কেন? দিদি উত্তরে বলে- আমি তোর হলের গেস্ট রুমে আছি, তুই নিচে নেমে আয়। বহ্নি খুশি হয়ে বলে- দিদি তুই বাসায় আমার কথা বলেছিস? দিদি বলে- সেই বিষয় নিয়েই কথা বলবো, তুই তাড়াতাড়ি আয়।

বহ্নি থাকে ৪র্থ তলায়, ও তাড়াতাড়ি রেডি হচ্ছে। অন্যদিন সাজসজ্জা করতে বেশ সময় নেয় কিন্তু আজ আর তার কোন বালাই নাই। সে সিড়ি পার হয়ে তাড়াতাড়ি পৌঁছে যায় দিদির কাছে।

দিদিকে দেখে ওর মনে হলো বাড়ীতে কিছু হয়েছে, তানা হলে দিদির চেহারা এমন কেন?
দিদি বহ্নিকে বলছে- আমি তোকে কিছু কথা বলবো সেগুলো তোকে রাখতে হবে। বহ্নি বেশ চিন্তায় পড়ে! ভাবে বাসায় আমার ব্যাপারে কি কেউ রাজী হয়নি, নাকি অন্য কোন কিছু। যাইহোক আমি ণখমাকে ভালোবাসি, ওকে ছাড়া পৃথিবীর আর কাউকে বিয়ে করতে পারবো না। দিদি বহ্নির গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কা দেয়, কিরে আমার কথা রাখবি না? বহ্নি বলে - আগে বল? কি কথা, তারপর রাখা, না রাখা আমার ব্যাপার?

দিদি কোন ভনিতা না করেই বলতে শুরু করে - সে ণখমাকে ভালোবাসে, তাকে ছাড়া সে বাঁচতে পারবে না,, সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে ণখমাকে বিয়ে করবে। আমার আর ণখমার মাঝ থেকে তুই সরে যাবি কারণ আমার জীবনটা ণখমার সাথে জড়িয়ে আছে, ওর সাথে যদি আমার বিয়ে না হয় তবে আমার আত্ম হত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। এখন দেখ তুই কি করবি আমার মৃত্যু নাকি তোর বিয়ে করা, কোনটা চাস?

----এই কথা শোনার পর বহ্নির মাথা নষ্ট হয়ে যায় এ কি বলছে দিদি? ও যাকে ভালোবাসে , সেই ব্যাক্তি তার দিদিকেও? উফ: মাথা প্রচন্ড খারাপ হয়ে যায়। ওই বয়সে সে তার আবেগকে সামলাতে না পেরে সে দিদিকে বলে- আমি ণখমাকে বিয়ে করবো, তুই কি করবি আর না করবি সেটা তোর ইচ্ছা, আমি ওকে ভালোবাসি আমি ওকেই বিয়ে করবো। বহ্নি কখনো হারতে শিখে নাই, সে যদি তার পছন্দের মানুষকে হারাই সে পাগল হয়ে যাবে কারণ সে তার সত্যি আত্মা দিয়ে ভালোবাসে, জীবনের সব রঙ দিয়ে তাকে এঁকেছে।

দুই বোনের মাঝে ঝগড়া শুরু হয়ে যায় সেই গেস্ট রুমে, ছোট বোন বড় বোনকে (বয়সে ৮ বছরের বড়) আঞ্চলিক ভাষায় গালি দেওয়া শুরু করে, এদিকে বহ্নির রুমমেট আপুরা এসে ওকে থামাবার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না। বড় বোন হয়ে ছোট বোনের পা জড়িয়ে ধরে কাঁদে, আর বহ্নিকে বলে- দেখ তোর জীবনে অনেক ভালো ছেলে পাবি, তোর ভালো চাকরিও হবে, তোর জন্য কোন সমস্যায় থাকবে না কিন্তু আমার জীবনে আর কোথাও বিয়ে হবে না, ওর সাথে আমার সব কিছু হয়ে গিয়েছে, এখন তুই ওকে বিয়ে করলে আমার আত্মহত্যা করতে হবে? এখন বল আমি কি করবো? আমার জীবনের সব কিছু শেষ, তুই বোন হয়ে বোনের এতবড় সর্বনাশ করবি? বহ্নির রুমমেট আপুরা ওকে বুঝিয়ে রুমে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। আর দিদি সেদিন অফিসে না গিয়ে বাসায় ফিরে যায়।

লোকটা দুই বোনের সাথে এমন করলো অথচ তাদের মাঝে প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা নাই, আছে শুধু প্রেম, ভালোবাসা, না হারাবার চিন্তা, শুধুই একান্তভাবে ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাবার ইচ্ছা।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি