পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

জীবনের কিছু বিপন্ন মুর্হূত ৩ (পূর্ব প্রকাশের পর......)

ছবি
বহ্নি ণখমার মুখোমুখি হওয়ার ও কথা বলার চেষ্টা করেছিল কিন্তু ণখমা সেটা করেনি পালিয়ে বেড়িয়েছে। বহ্নির সমস্ত পৃথিবী আধাঁরে মিশে গিয়েছে যে ঝলমলে দিন ছিল সে গুলো তার মিলিয়ে গেল নিমিষেই। ঘটনা শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে আর তার সমাপ্তি ঘটলো ২০০৮ সালে এসে।  মাঝের সময়টা খুব খারাপ ভাবে ঘটলো। ওর মাথাটা সব সময় কি এক টেনশনে আবদ্ধ থাকতো। কিছুদিন পরে তার দিদির সেই প্রতারক, ঠকবাজ লোকটার সাথে বিয়ে হয়ে গেল। ঘটনাটা কোন দিন আর প্রকাশ হলো না। কোন প্রতিবাদ ছাড়াই লোকটা বেঁচে গেল। বিষয়টা জানতো বহ্নির ৪ জন রুমমেট, দিদি আর প্রতারক লোকটা।    দিদির বিয়ে করতে হলো সমাজের বেঁধে দেওয়া নিয়মের জন্য। কারণ সে লোকটাকে দীর্ঘদিন ভালোবেসে বিশ্বাস করে সব কিছু বিলিয়ে দিয়েছে এখন সে অন্য জনকে গ্রহন করতে পারছে না। তার সাথে যা কিছু হয়েছে সেটাকে সে বাদ দিয়ে চলতে পারছে না। বিয়ের পর মেজ দিদি সুখি হয় নি কিন্তু উপরে উপরে সে সুখি হওয়ার ভান করে। কে আছে জগতে? যে বিশ্বাস নিয়ে মানুষ সব কিছুকে আকড়ে ধরে সেই বিশ্বাসকে যে ভংগ করে তাকে কি হিসেবে বা কোন চোখে দেখে?  এদিকে বহ্নির আর সেই বাধ ভাঙা হাসি নেই...

জীবনের কিছু বিপন্ন মৃর্হূত ২ (পূর্ব প্রকাশের পর)

ছবি
................................................................................................................................................................... ................................................................................................................................................................... পরের দিন সকালে বহ্নি ফ্রেশ হয়ে বসে মোবাইল টা হাতে নিয়ে ভাবছে, এখনই বাবা কে বিষয়টা জানাতে হবে, তার আর ণখমার বিয়ের ব্যাপারে। দিদির আশায় থেকে কিছু হবে না। যখনই ডায়াল করবে ঠিক সেই মুর্হূতে তার মেজ দির ফোন আসে, ও প্রথমবার রিসিভ করেনি, দ্বিতীয় বার ফোন বেজে উঠলে তখন অবহেলা ভরে ফোনটা রিসিভ করে। রিসিভ করেই জিজ্ঞেস করে- কি হয়েছে? এতো ফোন দিচ্ছিস কেন? দিদি উত্তরে বলে- আমি তোর হলের গেস্ট রুমে আছি, তুই নিচে নেমে আয়। বহ্নি খুশি হয়ে বলে- দিদি তুই বাসায় আমার কথা বলেছিস? দিদি বলে- সেই বিষয় নিয়েই কথা বলবো, তুই তাড়াতাড়ি আয়। বহ্নি থাকে ৪র্থ তলায়, ও তাড়াতাড়ি রেডি হচ্ছে। অন্যদিন সাজসজ্জা করতে বেশ সময় নেয় কিন্তু আজ আর তার কোন বালাই নাই। সে সিড়ি পার হয়ে ত...

জীবনের কিছু বিপন্ন মুর্হূত১(পূর্ব প্রকাশের পর)

ছবি
আজ ভোরের আলোটা যেন অন্যেরকম মনে হচ্ছে । যেন কেউ এসে তার উপর আবীর বুলিয়ে রেখে দিয়েছে । মনের মাঝে কিছু স্বপ্ন আছে যা প্রতি মুর্হূতে বদলাচ্ছে নতুন সাজে ।  নতুন কোথাও যেতে হবে এই ভাবনায় রাতের নিদ্রা হয়েছে সংকীর্ণ । চঞ্চল মন উদ্ভ্রান্তের ন্যায় এদিক সেদিক উঁকি দেয় আর সেটা পরিণত হয় বাস্তবায়নের মাঝে । বহ্নির মনে ঠিক তেমনটাই ঘটেছিল university যাওয়ার পূর্ব মুর্হূত পর্যন্ত । সে এক নতুন জীবন যাকে কখনো  বেঁধে রাখা যায় না । শুধু মাত্র কল্পনার রঙে আঁকা যায় ।   নতুন পরিবেশ, নতুন সব মানুষ গুলি এসব ভাবতে ভাবতে বহ্নির ঘুম আসে না। বহ্নি ভাবে কেমন হবে নতুন জীবন, নতুন সব কিছু? এই সময় দিদি আসে,  বহ্নিকে প্রস্তুত হতে বলে । বহ্নি সাড়া দেয় দিদির কথায় । বহ্নিরা চার বোন কোন ভাই নাই । বড় দিদির বিয়ে হয়েছে বছর খানেক । আর মেঝ দিদি Masters পড়ছে ঢাকার একটা বিশেষ কলেজে । বহ্নি বোনের মধ্যে তৃতীয় । বহ্নির ছোট বোন বেলা । বাবা Retired করেছেন । মা স্কুল শিক্ষক । বলা চলে সাজানো গোছানো একটা পরিপাটি পরিবার । বহ্নি পরিবারের একমাত্...

স্বপ্নঘোর........

ছবি
“ ঝুম বৃষ্টিতে সবকিছু ‍সিক্ত হয়ে যাচ্ছে, আমার হৃদয়কে নুইয়ে দিচ্ছে বৃষ্টির কোমলতা অপলক চেয়ে আছি- অজানা গন্ধ গুলি র্স্পশ করছে আমার ত্বক, আমি ফিরে যাচ্ছি ফেলে আসা স্মৃতির দিকে ঝিম ঝিম করছে মাথাটা ” কান্না করছি আমি,  শুধুই কান্না ..... দরজার ওপাশ থেকে ধাক্কার আউয়াজ শুনতে পাচ্ছি , বেশ জোরে , সেই সাথে আমার নামও। আমি চোখ    মেলে দেখি আমার রুম অন্ধকার , আমি বিছানাতে শুয়ে আছি , আমার চোখ ভেজা ! আমি তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম বিছানার উপর। মায়ের ডাকের উত্তর দিলাম , দেওয়ার পর দরজা খুলে দিলাম । মা রুমে এসেই বলছে কি হয়েছে ? আমি  তৎক্ষণাৎ বলছি কোথায় আবার কি হবে! কিছুই হয় নাই। মা তখন বলছে- আমরা তোর কান্নার শব্দ শুনে চলে এসেছি, আর এখন বলছিস কিছুই হয় নাই? বাবা আমাকে বলছে- ও স্বপ্ন দেখে কেঁদেছে । বাবা-মা আমাকে আর কিছুই বলতে দিল না, ওদের রুমে আমাকে সাথে নিয়ে গেলেন। রাত তখন ৩টা ৪০মিনিট। এরপর আমার ঘুম আসলো না।  আর আমার বাবা-মা না ঘুমিয়ে আমার জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট  প্রার্থনা করলেন, পরবর্তীতে আমি যেন এমন সম...

বিশ্বাস, বিশ্বাস শুধুই বিশ্বাস

ছবি
বেশ একটা সময় কেটে গেল অসু্স্থতার মাঝে। দেখতে দেখতে অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে গেল আমার জীবন থেকে, তবু কিছু তো একটা হলো, সেটা হচ্ছে-এই আমি এখনো বেঁচে আছি। না হারাবার না নিঃশ্বেষিত হবার। তাই আমার পরম করুণাময়ীকে ধন্যবাদ যে আমাকে এখনো এই পৃথিবীতে আরো কিছুদিন প্রশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। বিশ্বাস, বিশ্বাস শুধুই বিশ্বাস- এই নিয়ে চলেছি একলা কোন কিছুকে আর ভয় করি না কি হবে আর ভেবে!!! যদি সে আমার না হয় তবে কেন তার আশা- সত্য কে ধারণ করে ছুটেছি দিগন্ত পানে  আমার আর পিছু ফেরা সম্ভব নই আমি হারতে শিখি নাই  কেন যেন মনের কাছে নিরব যোদ্ধা তবু এগিয়ে গিয়েছি লোকান্তরের মধ্যে রেখা জয়ী আমি হবই এই আমার একান্ত বিশ্বাস।।