লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

সংস্কুতির ডুব!!!


আমার জ্বর যেন শরীর থেকে উধাও হচ্ছে না। আমি মনে হয় বয়সের ভরে নুইয়ে পড়ছি। আমার কোন শক্তি নাই। শুধু ঘুমের জগতে বাস করছি। আর ঘুম থেকে উঠার পর মনে হচ্ছে অচেনা কোন এক জগতে বাস করছি। মনকে চাঙ্গা করার জন্যে একশনধর্মী, কারাতে মুভি দেখছি। আমার ঔ মুভি গুলি দেখা, তারপরও সেগুলি দেখছি। আমি প্রকৃতির সান্ন্যিধ্যে বসে মুভি দেখছি, ছাদের উপরে বসে। কিছুক্ষণ পর আমার মামাতো বোন, ভাগ্নী ওরা এসে খেলতে বসে গিয়েছে। ওরা ওদের মতো খেলছে আর আমি মুভিতে একবার আর আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। এরমাঝে আমি ওদের জোর স্বরে কথা বলায় সম্বিত ফিরে পেলাম। ওরা বলছে- জয় মা দূর্গা, জয় আল্লাহ- আল্লাহ, জয় ঠাকুর, ও বুদ্ধ , ও আল্লাহ,     
ও গড............................................... জয় মা কালী এগুলো বলে কি একটা নৃত্য দিলো তারপর একজন অন্যজনকে বলছে আমরা তো মিথ্যা মিথ্যা খেলছি। আমি ওদের এগুলো দেখে কিছুই বলি নাই, কারণ ওরা সব কিছুই অনুকরণ করে। ওদের প্রত্যেকের বয়স পাশাপাশি-৪, সাড়ে ৪, ৫বছর পর্যন্ত বয়স। এরা টেলিভিশন দেখে হিন্দিতে মাঝে মাঝে কথা বলার চেষ্টা করে, নৃত্য করে, বাংলা সিরিয়াল দেখে ওরা অভিনয় করে ঠিক যেভাবে আমি টেলিভিশনে দেখেছি। কারণ এদের কান্ড দেখে ছাদ থেকে নীচের দিকে তাকালাম দেখলাম বাগানে কিছু ছেলে- মেয়ে খেলছে ওরাতো রীতিমত বাংলা সিরিয়াল জি টিভির অনুষ্ঠান শুরু করেছে। আবার অন্যপাশে দেখি- জি টিভিতে রাশি নামে একটা সিরিয়াল হয় সেটার কেন্দ্রিয় চরিত্র ভিলেন অপলা রায়- তার মত করে অভিনয় করছে। আমি অসুস্থ হওয়ার পর মায়ের রুমে শুয়ে থাকি আর মাঝে মাঝে একটু আধটু চ্যানেল ঘুরাই। আমি টিভি সিরিয়াল একদম পছন্দ করি না। কিন্তু বর্তমানে আমার সম্মুখে আমি যা দেখছি আর শুনে চলেছি তাতে মনে হচ্ছে আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি ডুবতে খুব বেশি সময় নিবে না। 

বছর ২ আগে রমনার বটমূলে গিয়েছিলাম সেখানে তো কি বলবো খুবই অদ্ভূত সংস্কৃতি দেখলাম। বটমূলে গুটিকয়েক মানুষকে দেখলাম ছায়ানটের চিরাচরিত নিয়মে রবীন্দ্র সংগীত করতে, আর তার থেকে কিছু দূরে বেশ মানুষের কোলাহল তারা ডিস্ক বান্দরের নাচ দেখছে। তার থেকে আরো দূরে দেখলাম হিন্দি গানের তালে তালে তরুণ দলে উন্মাদনা। এরপর আমি আমার কয়েকজন বন্ধু ছিল ওদের নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম, তখন আমার টিচার ফোন করছেন আমার সাথে দেখা করার জন্য, আমার বন্ধুরা বললো - স্যারকে বটমূলে আসতে বল? আমি বললাম- এইসব দেখে স্যার কি করিবেন তার চেয়ে চল চারুকলায় যাই আর স্যার ওখানে আছে দেখা করে বাসায় ফিরবো। আমরা তাই করলাম। স্যার বললেন- আজিজ সুপার মার্কেটে আসো রেস্তরায়। আমরা ওখানে গেলাম। সবাই খেলাম, তারপর চারূকলায় গিয়ে কিছুক্ষণ পর স্যার কে বিদায় দিলাম। স্যার যাওয়ার পর আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম । তারপর যে যার অবস্থানে ফিরে গেলাম। 

সংস্কৃতি নিয়ে ভাবার মত মানসিকতা আজ আর কারো নাই। আছে শুধু হিংসা , বিদ্বেষ আর মারামারি। কিভাবে সব কিছুকে নিজের আয়ত্বে নিয়ে আসা যায়!!!!!

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি