ঘুম থেকে উঠতে শুনতে পেলাম ২টি হট নিউজ। একটি হলো ঘরের গৃহবধূ স্বামীর সাথে ঝগড়া করে গলায় দড়ি ঝুলিয়েছিল, পরে তার স্বামী বুঝতে পেরে তাকে ক্লিনিকে ভর্তি করে, তখন গৃহবধূটি বেঁচে যায়। দ্বিতীয়টি হলো আমাদের প্রতিবেশী মামাকে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত করেছে। রাতে তাহার দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরছিল ঠিক সেই সময়ে তাকে আঘাত করে। আমি আর আমার কুট্টি ভাই গেলাম তাকে দেখতে। তাকে দেখে বেশ মর্মাহত হলাম কারণ তার শরীরের কয়েক জায়গায় কোপ দিয়েছে। সেগুলি ব্যান্ডেজ দিয়ে আটকানো। আমি বললাম মামা কখন ফিরছিলেন বাসায়?
বলল- মনি আর বলো না প্রতিদিন একই সময়ে বাসায় ফিরি কিন্তু কখনো এমন হয় নাই। আমার দোকান বন্ধ করে মাত্র ৫০ কদম সামনে আসতেই রাস্তার দুই গলি দিয়ে আমাকে ঘিরে ধরেছে, আমার শক্তি দিয়ে তাদের মুখোশ খোলার চেষ্টা করছি আর বলছি তোমরা কারা? কিন্তু কেউ কথা বলে না। আমি চিৎকার করছি ছিনতাইকারী, ডাকাত কে আছো আমাকে বাঁচাও, আমার ডাকে কেউ আসেনি। আমি দেখলাম আমি যেখানে দাঁড়িয়ে সেখানের ফ্লাটের মানুষ তখনও ঘুমায়নি , তারা বাসার মাঝে কথা বলছে, রুমে টিভি চলছে । আমি অবাক হলাম আমার চিৎকারে তারা টিভি বন্ধ করে দিলো এবং তাদের কথাও শুনতে পেলাম না। আমার জন্য কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। আমি ওদের সাথে পারতাম শুধু সার্পোটের অভাবে পারি নাই। আর ওদের কন্ঠ শুনলেই ১০০% নিশ্চিত হতাম ওরা কারা? কিন্তু মাঝখান থেকে আমি যখম হলাম, টাকা-মোবাইল হারালাম। আমি খুবই আশ্চর্য হলাম এতো চিৎকার করছি আর কোন মানুষ ঘর থেকে বের হলো না, কি অদ্ভূত দেশে বাস করি! বিপদের সময় মানুষ পাওয়া যায় না। আমরা উনার কথায় বেশ উত্তপ্ত হলাম, বললাম টেনশন করবেন না, আপনি বুঝতে পেরেছেন কে এই ধরণের কাজ করেছে, আমরা এর একটা ব্যবস্থা করবো। উনি বললো- মানুষের সামনের উপরে কত কিছু হয়ে যাচ্ছে সেগুলোর কিছু হচ্ছে না আর এদের তো মুখোশ পরা ছিল। কিছুই হবে না। যদি কিছু অনুমান করে করা হয় তবে পরবর্তীতে আমার বাসায় ফিরতে অসুবিধা হবে। থাক তোমরা এ নিয়ে কোন ঝামেলা করো না। আমি ওষুধ খাচ্ছি সুস্থ হয়ে যাবো। এই কথার পরে আর কি হতে পারে বাসায় ফিরে আসলাম।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন