মানুষের জীবনে অসাধারণ বলে কিছু থাকে কিন্তু আমার জীবনে হয়তো সেটা নেই। কিভাবে জীবনের মূল্য দিতে হয় প্রতিটি মুর্হূতে তার কবলে পড়ে যাচ্ছি আর বুঝতে পারছি। দিন যায় রাতের আঁধার নামে, প্রতিটি দিনের মত, এ আর নতুন কি! কিন্তু কিছু কষ্ট হাজার চেষ্টা করেও সমাধান করা যায় না।
জ্বর একটু কমে যাওয়ার পর বাইরের বেলকুনিতে বসলাম। মানসিক অবস্থা আমার খুবই খারাপ। মনে হচ্ছে সব কিছু ভেঙে গুড়িয়ে দিতে পারতাম তাহলে হয়তো মনের ভেতরটা শান্ত হতো। কিন্তু সেটা হবার নয়, কারণ গড়া অন্যের সম্পদ সেটা তো আর আমি নষ্ট করতে পারি না। এই বলিয়া আমি নিজেকে শান্ত করিলাম।
পড়ন্ত বিকালের রোদের দিকে চেয়ে আছি, সেই সময় আমাদের পাড়ার বৌমা আমাকে বলছে- কেমন আছো এখন, শরীর ভালো তো? অবহেলা ভরে বললাম ভালো। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম- তোমার ভাইয়ের মেয়েকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়েছো? তার স্বামীর নামে থানায় ডায়েরি করেছো? (গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক- তার শেষ কথাগুলি) আমাকে অবাক করে দিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিলো।
মেয়েটাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়েছে, তাকে বাড়ীতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, হাসপাতালে একদিন রেখেছিল পরেরদিন তাকে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়, যত মানুষ জানবে ততই তাদের মেয়ের অন্যত্র বিয়ে দেওয়া অনিশ্চিতের মাঝে ঝুলে থাকবে । আর পাষন্ড মানুষটার কোন সাজা(শাস্তি) হবে না কারণ মেয়েকে কোর্টে তোলা, তাকে গ্রামের মানুষ খারাপ চোখে দেখবে, সমাজ তাকে ভালো ভাবে গ্রহন করবে না, এইসব হাবিজাবি আর কি, এগুলো নিয়ে তারা আর ঐ পাষন্ডের শাস্তির কোন ব্যবস্থা করেনি।
আমি কোন কথা বলতে পারলাম না। বৌমা আমাকে এগুলো বলে চলে গেল।
উফ: মাথাটা এবারে আরো বিগড়ে গেল, এসব কি হচ্ছে!!! কয়েকদিন আগে শুনলাম এদের বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরি হবে, ওদের কে চরম নির্যাতনের শাস্তি দিবে, আর কি অবস্থা শুনলাম.......................................................................................................................................
যাক আমরা এখনো অন্ধকার মহাদেশে বসবাস করছি। আমাদের এই দেশের বিচার ব্যবস্থা, মানুষের সামাজিক কু-প্রথা, অত্যাচারির অত্যাচারের অনির্দিষ্টতা, মান-সম্মানের অহেতুক প্রহসন আর কত দেখবো জানি না। ভালো লাগে না মানুষের এইসব ভুয়া নিয়ম-কানুন, পৃথিবী সুন্দর কিন্তু মানুষের তৈরী নিয়ম-নীতিমালা এতো বিশ্রী যে শুধু গন্ধ ছড়ায়...................
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন