লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

কিছু ভাবনা যা পৃথিবীকে নিয়ে ।



প্রতিদিন কিছু বিষয় আসে ভাবনাতে, আর সেগুলোর সমাধান খুঁজতে গিয়ে দিনের সমাপ্তি ঘটে। এভাবে একটি দিনের সমাপ্তি ঘটে। নতুন দিনের আবার শুরু হয়। ঘটনা, সময় সবকিছু একের পর এক চলতে থাকে। অন্যের পৃথিবী হয়তো অনেক সুন্দর কিন্তু আমার পৃথিবী অন্যের মত সুন্দর নয়। আমি যেভাবে পৃথিবীকে ভালোবাসি হয়তো অন্যের ভালবাসা আরো বেশি সুন্দর। 



পৃথিবীর জন্ম রহস্য নিয়ে যখন একটি বই পড়ছিলাম তখন কতই না অদ্ভুত লাগছিল আবার শরীর শিউরে উঠছিল। আমরা কিছু শ্রেণীর মানুষ পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে আছি আবার কিছু শ্রেণীর মানুষ আছি প্রাকৃতিক সৌন্দয লুন্ঠনের কাজে, আবার কিছু আছে যারা প্রাকৃতিক দামি সম্পদকে নিজের কুষ্ঠিতে কুক্ষিগত করে রাখতে চাই। আরে এটা বোঝে না যে সম্পদ সবার উপকারে আসবে সেই সম্পদ কেন নিজের মিউজামে রেখে দিবে, আজ যদি সে ঘুমায় কাল সকাল তার জীবনে আসবে কিনা সে কি বলতে পারবে?  তাহলে কেন এই লোভী মন, মানসিকতা, কেন শুধু নিযার্তন-অত্যাচার হানাহানি মারামারি, দাম্ভিকতা........................................................................................ইত্যাদি ইত্যাদি । আমরা তো শুধু নিজেদের বিস্তার করে চলেছি আর সেই সাথে ভবিষ্যত সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছি। 



প্রকৃতি আমাদের জীবন চলার পথকে সুন্দর আর সাবলিল করে রেখেছিল কিন্তু মানুষ সেই সুন্দর পথকে আরো বেশি নোংরা করে চলেছে। প্রকৃতির যা কিছু সুন্দর সেটাই মানুষ তার নিজস্ব সম্পদ হিসেবে নিজের করে রেখেছে কিন্তু পৃথিবীর গতিবিধি একটার সাথে আর একটার নিবিড়ভাবে জড়িত, যা মানুষ প্রতিনিয়ত ধ্বংস করে চলেছে।



আমরা মানুষ জাতি তখনই সৃষ্টিকর্তাকে ডাকি যখন কোন বিপদে পড়ি কিন্তু একটু সময় তার জন্য রাখি না। একটুর জন্য আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি সেই পৃথিবীর ভালো-মন্দও বোঝার চেষ্টা করি না। কিভাবে পৃথিবীটা টিকে আছে.............................................................................................................।


আমি খুব ছোট বেলাতে মেঘ নিয়ে, বৃষ্টি, নিয়ে, চাঁদে মানুষের যাওয়া নিয়ে প্রায় স্বপ্ন দেখতাম আর উঠে কান্না করতাম। মনে হতো এবার সব কিছু মোমের মত গলে আমাদের গায়ে পড়বে, আমরা এসিডের মত বুদবুদ করে উঠবো। তারপর আমরা মিশে যাব সমুদ্রের সাথে। এরপর অন্যএকদিন স্বপ্ন দেখছি সেদিন আমাদের বারান্দাতে ঘুমিয়ে। আমাদের বাড়ীটা ইটের প্রাচীর দিয়ে দুই সাইডে ঢাকা, আর ঘর ছিল ২টি একটি টিনের চালা, দেয়াল বেড়ার এবং বারান্দার চালাতে মাটির টালি, উত্তর-দক্ষিণ মুখি, উত্তর সাইডে মেইন রাস্তা, ঐ রাস্তা থেকে এসেই বারান্দা দিয়ে ঘরে প্রবেশ, আর অন্য ঘরটি ছিল পূর্ব-পশ্চিম মুখি গোল পাতার ছাউনি, এটার কোন বারান্দা ছিল না এই ঘরে কোন অতিথি আসলে থাকতো, আর যখন খালি পড়ে থাকতো তখন আমার মেজ মামা এসে থাকতেন কারণ মামা বাড়ী পাশেই এবং বাবা বাড়ীতে না থাকলে। তার পাশে বাথরুম, এরপাশে রান্নাঘর এভাবে পুরো বাড়ীটা ছিল চতুর্ভুজের মত। আমাদের বাড়ীর উত্তর দিক থেকে ধরি তাহলে ডান দিকে বেশ বড় কলাবাগান বিশিষ্ট একটা মাঠ, বাম দিকে ফল গাছের জংগলে ভরা বাগান, ঐ বাগানের মালিকের বাড়ি আধা মাইল দূরে, আমার নানু বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে ১০০ কদম দূরে , বসতি বেশ ফাঁকা। আমি সন্ধ্যার দিকে পড়তে বসেছি হ্যারিকেন এর আলোয়, বিদ্যুৎ তখন ছিলো না। গরমের সময় বারান্দায় মাদুর পেড়ে সেখানে বেড়াতে হেলান দিয়ে বসে পড়ছি আর আকাশে চাঁদ উঠেছে সেদিকে মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছি। আমার কুটি ভাইটা নানুদের বাড়ীতে খেলছে। মা আমাকে কিছু একটা খেতে দিয়েছিল, বলল পড় আমি তোর নানু বাড়ী থেকে আসছি,,,,,,,,,এই বলে মা তখনকার মত গেল আর কোন খবর নাই।



আমি কিছুক্ষণ পড়ার পর একা একা বেশ খারাপ লাগতে শুরু করলো, চাঁদের আলোয় অন্ধকার গাছগুলো চকচক করে উঠেছে, ঝি ঝি পোকারা সমানে ডাক ছেড়েছে, চারিধার প্রচুর নিরব, তাই আমি শুয়ে পড়লাম ওখানে ,আর শুয়ে শুয়ে চাঁদ দেখছি, তার পাশ দিয়ে সাদা মেঘগুলো চলে যাচ্ছে কতগুলে বড় আবার কতগুলো ছোট, ঐ জগতে পুরোপুরি চলে গিয়েছি, এগুলো দেখতে দেখতে আমি প্লেন এর বিকট আওয়াজ শুনলাম আর ঐ আওয়াজে আমার ভয়ে চোখ বন্ধ হয়ে এসেছে আর তখন আমি ঘুমিয়ে পড়ি......................... ঘুমের মাঝে দেখি আমি চাঁদের দেশে পৌঁছে গিয়েছি, সেখানে দানব মানুষরা সব সামনে যা কিছু পাচ্ছে তাই ধ্বংস করে দিচ্ছে, বিশেষ করে যারা হেলিকপ্টারে করে এসেছে তারা কি সব বোমা মারছে আর মানুষ মারা যাচ্ছে, আমি যখনই দৌঁড় দেই তখনই মেঘের মাঝে পড়ে যাচ্ছি আর দৌঁড়াতে পারছিনা। এই অবস্থায় আমি বেশ জোরে জোরে কাঁদছি আমার মা ছুটে এসে বলছে কি হয়েছে কাদছিস কেন আমি তো রাস্তায় ছিলাম, তোর আন্টির সাথে কথা বলছিলাম।



আমি দেখি চাঁদ তো সরে বেশ উপরের দিকে আছে, আর সেদিকে তাকিয়ে দেখি কিছু হয় নাই , তখন বলছি মাকে সব কিছু মা শুনে বলছে পড়া বাদ দিয়ে চাঁদ নিয়ে গবেষণা চলছে। ভয়ের কিছু নেই চাঁদের কোন ক্ষতি হবে না, উপরালা একজন আছেন না তিনি দেখবেন আমাদের। আমি আজও সেই ছোট বেলার স্বপ্ন গুলো দেখেলে কান্না করি। এখন আমার চারিদিকে কোন স্বপ্ন আসে না সেই ছেলেবেলার মত, যে প্রকৃতির সান্নিধ্যে বেড়ে উঠেছিলাম, এখন শুধু কংক্রিটের পৃথিবী যেখানে আছে প্রেম-বিচ্ছেদ, দালান-কোঠার ভবিষ্যৎ, প্রযুক্তির কলুষিত আবরণ, ফ্যাশন দুনিয়া, মাতালের উত্তেজনা ধরে রাখার বহু পন্থা, মানে একের পর এক সমস্যা, পরিবারের জনসংখ্যা বিভাজিত হয়ে নিজের মত একটা পৃথিবী তৈরী করে সবার থেকে আলাদা থাকা, আগের সেইসব মানুষদের কোন সম্মান-শ্রদ্ধার আসনে না বসিয়ে তাদের কে পর করে বৃদ্ধাশ্রমে ঠেলে পাঠানো। এভাবে সজ্জিত পৃথিবীর বুক থেকে সব হারিয়ে যাচ্ছে। আমি বইটা বুকের উপর রেখে ভাবছি আর আমার দুচোখ দিয়ে নদী বয়ে যাচ্ছে, শুধু মনে হচ্ছে আমরা কি কারণে এই পৃথিবীতে এসেছি, আমাদের কর্ম কি এই বর্তমান পৃথিবীর রূপরেখা নাকি অন্যকিছু....?


জানি না আমি এই রহস্যময় জগতের কথা! তবে আমি দেখেছি এই জগতে যে- যেই অন্যায়মূলক কাজ করে সে মৃত্যুর আগে সেই শাস্তি ভোগ করে যায় তবু আমরা জাতিরা আমরা যা করছি সেটাই করে যাব। যারা সৎ ভাবনা নিয়ে আছে, অন্যের উপকারে নিবেদিত ঠিক তাদের জন্য হয়তো পৃথিবী এখনো ধ্বংস হয়নি। আমাদের উচিৎ যারযার অবস্থানে থেকে তার সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস রেখে একটু দয়াময়ের নিকট প্রার্থনা করা। একটু শান্তি আসলেও সেটা এই সুন্দর পৃথিবীর উপর প্রর্বতিত হবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি