লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

কিভাবে ফেনসিডিল ধরলো,তার একটা নমুনা দেখলাম.....




সকাল নয় খুব ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠেছি চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাবা গাড়ীর টিকিট আগেই কেটে রেখেছিলেন আমি তাড়াতাড়ি রেডি হলাম এরপর আমি বাসা থেকে  বের হইলাম বাবা আমাকে এগিয়ে দিলেন কাউন্টার পর্যন্ত কারণ তখন ভোর ৪টা ৩০মিনিট আর গাড়ী ছাড়বে ৪টা ৪৫মিনিটে বাবা বাইক বের করেনি, আমাদের শহরে রাস্তা ফাঁকা পেলেই বাইক নিয়ে যাবার ধান্ধাতে থাকে তাই বাই-সাইকেল বের করে  আমাকে তার পিছে বসিয়ে নিয়ে গেলেন আমি ভোরের আবহাওয়ায় আরো সতেজ অনুভব করলাম কারণ চারিদিকে কেউ নাই, আমি আর আমার বাবা আমি বাবা গল্পে বেশ মশগুল এরপর দেখি আংকেল আন্টিরা সবাই মর্নিং ওয়াক করতে বের হয়েছেন আমরা তাদের ছাড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম এরপর কাউন্টারে গেলাম।গাড়ী আসলো ৫-৭ মিনিট পরে। আমি আমার সিটে গিয়ে বসলাম। 


আমার গাড়ীর সিট নং ছিল বি-৪, জানালার ধারে। বাবাকে বললাম, বাবা তুমি বাসায় চলে যাও আমি ঢাকায় পৌঁছে তোমাকে ফোন করবো। সে মাথা দুলালো, এরপর বাস থেকে নেমে গেল। আমি সিটটাকে ফোল্ডিং করে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছি। ড্রাইভার মাইনাস করে এসে গাড়ী ছাড়লো। গাড়ী চলছে......................................................................

আমার পাশের ভদ্রলোক আমার সর্ম্পকে জানতে চাইলেন আমি বললাম, তিনি তার কথা বলতে চাইলেন কিন্তু আমার শোনার আগ্রহ নাই কারণ আমার বেশ ঘুম পাচ্ছে,ঐ সময়(ভোরের ঘুম) আমার ঘুম বেশি আসছে। আমি ঘুমের মাঝে ছুটলাম। ..............

গাড়ী হঠাৎ দেখি থেমে আছে, জানতে চাইলাম কি সমস্যা? উত্তর আসলো গাড়ীতে চেক হচ্ছে। আমি আবার চোখ বন্ধ করলাম। এরপরসত্যিই বেশ জোরালো কন্ঠ শুনতে পাচ্ছি।  তখন আমি চোখ মুছে পেছনে ফিরে দেখলাম ২ জন ডিবি পুলিশ সিটে বসা যাত্রীদের জিজ্ঞেস করছে এই ব্যাগের মালিক কে? কিন্তু কেউ বলতে পারে না কে এই ব্যাগের মালিক। সমানে সবাইকে জিজ্ঞেস করে চলেছে। ব্যাগটি ছিল ছাদের বাংকারে। ব্যাগটির সোজাসুজি নিচের সিটে যে দুজন মানুষ বসে ছিল তাদের কে পুলিশ পেশা থেকে শুরু করে কোথায় যাচ্ছে সবই প্রশ্ন করছে। এরমাঝে আর একজন পুলিশ ফোন করছে স্যার এই ব্যাগের মালিক কে, তা এখনো খুঁজে পাচ্ছি নে। ও পাশ থেকে কি উত্তর আসলো জানি না। ফোন কেটে দিল। আমার মনে হলো এরা হাল ছেড়ে দিয়েছে, হয়তো গাড়ী থেকে এখনই নামবে। 

কিন্তু দেখি আমার ভাবনা উল্টা । একজন বলিষ্ঠ মানব মূর্তির মত এসে হাজির, অন্য দুজন পুলিশের চেয়ে দেখতে বেশ লম্বা চওড়া, চোখগুলো বড় বড়, গলার স্বর খুবই উচ্চ। সে এসে গাড়ীর হেল্পার, সুপারভাইজার কে খুঁজলো। তারা তখনই ভয়ে, ভয়ে হাজির। আমি এদের কান্ড দেখে চলেছি আর মনে মনে ভাবছি যত সব ভুয়া কান্ডকারখানা ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিবি পুলিশ গাড়ির যাত্রী বের হতে না পারে সে কারনে গেট বন্ধ করে দিতে বললেন। 

এরপর ব্যাগ রাখা জায়গায় এসে দুই পাশের যাত্রীর দিকে তাকালেন। ব্যাগটি ছিল এফ৩-৪ যাত্রীদের মাথার উপরের বাংকারে। ওদের সামনে এসে বললেন আপনারা কি করেন, কোথায় যাচ্ছেন/? উত্তর আসলো- চাষবাস করি, আর আমার আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছি। এই উত্তর পেয়ে তিনি সামনের সিটের দিকে ফিরলেন। ডি-১ জানালার কাছে বসা যাত্রী পুরুষ, ডি-২ এর ছিল মহিলা। পুলিশ সোজ তার সামনে হাজির এবং সুন্দর করে প্রশ্ন করা শুরু করলেন- আপনি কি করেন? উত্তর আসলো-চাষবাস করি( চেহারা দেখে মনে হয়নি)।
পরের প্রশ্ন: কোথায় যাচ্ছেন? উত্তর: আমার আপুর বাসায়। পরের প্রশ্ন: মোবাইল আছে? সেটি বের করে দিল। মোবাইলে ডায়াল কল দেখে প্রশ্ন শুরু আপু জানে বাসায় যাচ্ছেন? উত্তর না আসলো। এটি কার নম্বর? আমার ভায়ের ।পরের প্রশ্ন: ভাই কোথায় থাকে? পুলিশ ফাড়িতে, উনি পুলিশে চাকরি করে। পরের প্রশ্ন: বোনের বাসায় যাচ্ছেন তাহলে তো আপনার ব্যাগ থাকার কথা, আপনার ব্যাগ কোথায়? উত্তর আসে- আমার বোনের বাসায় কাপড়- চোপড় আছে। এরপর প্রশ্ন আসে কোথা থেকে গাড়ীতে উঠা হয়েছে? উত্তর: অমুক(একটি স্থানের নাম) জায়গা থেকে উঠেছি। আসলে সেখান থেকে উঠে নাই কারণ আমি যেখান থেকে উঠেছি সেখানকার নাম সে বলছে। আমি গাড়ীতে উঠার সময় তাকে দেখি নাই। তখন মনে হলো লোকটা তাহলে চরম মিথ্যাবাদী। চেহারা দেখে এতোক্ষণ বুঝতে পারি নাই। কারণ তার চেহারা বেশ সরল, বয়সও কম দেখাচ্ছিল আর কথা গুলো বলছিল পুরাপুরি নরম্যালি। যেন ভেতরে কোন অপরাধ নাই। 

এরপর ডিবি পুলিশ আর দেরি করলেন না- তিনি তাকে সিট থেকে বের হতে বললেন, লোকটি কোন কথা না বলে বের হলো, তারপর পুলিশ বললেন আর কাউকে যাচাই করতে হবে না এই ব্যাগ ওর ছাড়া আর কারো নয়। ওকে নিয়ে যাও। আর যদি ওর ব্যাগ না হয় তবে আমি আমার চাকরি ছেড়ে দিবো। এই কথাগুলি বলে ব্যাগ এবং লোকটিকে গাড়ী থেকে  নামিয়ে নিয়ে গেলেন, যাওয়ার সময় আমাদেরকে দেখালো ব্যাগভর্তি ফেনসিডিল। আমি এবং গাড়ীর লোকগুলি শুধু এগুলো দেখলাম। তারা গাড়ী থেকে নামতেই সবাই বলছে আসলে মানুষ বোঝা বড় দায়, একজন অভিজ্ঞ পুলিশ এসে এটি উদ্ঘাটন করলো, অন্য দুজন তো ধরেই নিয়েছিল ব্যাগের মালিক নিরুদ্দেশ, তাই তারা উদঘাটন বন্ধ করে দিয়েছিল। 

আমাদের গাড়ীর ভেতর তখন একটাই কথা কিভাবে লোকটার মূর্তি আমাদের সামনে তুলে ধরলো। গাড়ীর হেল্পার আর সুপারভাইজার পুলিশের জেরার মুখে পড়ে বেশ শিক্ষা পেয়েছে। তাই তারা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলছে এখন থেকে প্রত্যেক যাত্রীর ব্যাগ তার কাছে রাখে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে এমন বিপদে আমাদের পড়তে হবে। ড্রাইভার গাড়ী ছাড়লো আমাদের গন্তব্য স্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য..........................................
  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি