লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

টিম লিডার????



কেটে যাচ্ছে বেকারত্বের দিনগুলি। ঠিক তার মাঝে একটা কন্ট্রাকে কাজ আসলো। ভাবলাম যাক কিছুদিন  কাজের মাঝে থেকে মাথাটা অন্যদিকে নেওয়া যাবে। তাই কাজটি করতে কোন বাঁধা আসলো না।

প্রস্তুতি নিয়ে গেলাম সেখানে। কাজটি ছিল ইউনিলিভারের মারকেটিং এর উপর ইনফরমেশন ডেইস্কে বসে ইনফরমেশন দেওয়া। আমার পাশের থানাতে ছিলএই কাজটি। আমি কাজ শুরুর আগের দিন দুপুরে সেখানে গেলাম। আমার সাথে আর একজন আসলো, সে আমার প্রতিবেশি, সেও আমার সাথে কাজ করবে। ভাবলাম ভালো হলো আমার সাথী একজনকে পেয়ে। খুব মজা করে আমরা সেখানে পৌঁছালাম।

বাসাটি ছিল ভাড়া করা। বাড়ীর মালিকের নাম ছিল রতন শাহা। তাহার নাম বলতেই সবাই বাসাটি দেখিয়ে দিল। বাসার সামনে যখন দাঁড়ালাম তখন আমার মত কয়েকজন আসলো। আমরা আমাদের পরিচয় দিলাম। তখন তারা কুশল বিনিময় করে নিয়ে যাওয়ার পর আমাদেরকে তাদের রুমে নিয়ে যাওয়া হলো। আমরা তখনও খুশি মনে সেখানে গিয়ে কথা বলছি আর বাসাটি ঘুরে ঘুরে দেখছি। বাসাটির ছিল ৪টি কক্ষ, ১টি বাথরুম, ২টি টয়লেট, একটি ‍স্টোর রুম, ১টি বেলকনি। বাসাটিতে টিমের সবাই একসাথে থাকবে। কালচার বিদেশীদের মত অবস্থা । টিম মেম্বারে মেয়েরা ৭জন আর ছেলেরা ১১ জন আমরা ২ জন সহ। ছেলেদের রুম বরাদ্দ হয়েছে ৩টি আর মেয়েদের জন্য ১টি। এবং রুম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ছেলেরা ৮টা পযন্ত ঘুমাবে এর মাঝে মেয়েরা ফ্রেশ হয়ে যাবে তারপর ছেলেদের ফ্রেশ হওয়ার পালা। আর সকালের নাস্তা সবাই মিলে করতে হবে। কেউ যদি ক্ষুধায় মারা যাই তো কিছু করার নাই। এই ধরণের কথা শোনালো আমাদের। তারপর বলছে কেউ রুম নোংরা করলে তার ঘাড় ধরে রুম পরিচ্ছন্ন করা হবে। এগুলো বলছিল রুমে থাকা টিমের কিছু সদস্য। আর কিছু সদস্য পরের দিন যে মেলা চলবে সেই কাজ প্রস্তুত করতে গিয়েছে।

টিম মেম্বার গুলি আমাদের বসতে বলল। বেশ কিছুক্ষণ পর আমরা আমাদের পা দুটিকে অবসর জ্ঞাপনে দিলাম । সময় ছিল বিকাল ৩টা২০মিনিট। তাহারা আমাদেরকে জানালো এখনো লাঞ্চ করেনি, তাই তারা একটু পরে লাঞ্চ করতে যাবে। আমরা দু জন ভাবলাম যাক দুজনে আমাদের কাজ গুলি প্রস্তুত করে ফ্রেশ হতে পারবো।

কিছুক্ষণ পর টিমের সদস্য গুলো এসে বলসে আমরা লাঞ্চ করেছি কিনা?  আমরা যথারীতি জানালাম লাঞ্চ করে এসেছি। তারা জানালো তবুও আমাদের সাথে যেতে হবে আপনারা লাঞ্চ করেন আর না করেন। আমি বললাম কেন? এটা আমাদের রুলস। মানে? মানে হলো টিম মেম্বার হলেই তখন থেকে সবাইকে এক নিয়মে চলতে হবে। আমি না খেতে চাইলে আপনাদের খাবার খাওয়া আমাদের দেখতে হবে? অবশ্যই। পড়লাম মহাবিপদে। ঔ সময় মনে হলো আমাদের যে টিম লিডার আছে তাকে স্মরণ করে দেখি সে কি বলে। আমার সাথের জন তো কিছুই বলে না যা কিছু আমাকেই বলতে হচ্ছে আর সে হ্যাঁ হু করে যাচ্ছে। লিডার বলে কি সে যা বলবে সেটাই সবাইকে মেনে চলতে হবে, ঠিক আছে আমি তাদের বলে দিচ্ছি তারা যেন আপনাদের যেন বিরক্ত না করে। আমি শুনে সেই মুহুর্তে বেশ প্রাণ ফিরে পেলাম।

এরপর তারা রাগে জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে আমাদের কে সাথে নিয়ে নাকানি চোবানি খাওয়াতে পারেনি সেই কারণে। যাই হোক তারা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় রুমের চাবি আর তালা খুজঁছে। আমি বললাম তালা কি করবেন... কিছুক্ষণ পরে উত্তর দেয় তারা রুমের বাইরে আমাদের কে তালা লাগিয়ে বাইরে যাবে। আমি শুনে হতবাক এটা কোন শ্রেণীর মানুষের মস্তিস্কের কথা। জ্বল-জ্যান্ত ২ জন মানুষ রুমের মাঝে বসে আছে আর তারা এতটুকু মানবতা বোধ না রেখেই আমাদেরকে তালাবদ্ধ করে রেখে যাবে?

আমি আর রাগ ধরে রাখতে পারলাম না, তারা জয়ী হওয়ার জন্য উঠে পড়ে আমাদের পিছনে লেগেছে। অবশেষে তাদের কাজই করতে দিলাম, তারাই বিশ্ব জয় করুক। আমার মত পরাধীন টিম মেম্বার আর কি করতে পারে ? আমি রাগের মাথায় আমার ১ বন্ধুকে ফোন করলাম- তাকে বললাম আমার এলাকায় কাজ করতে এসে আমার উপরই খবরদারি শুরু করেছে কিছু করে দেখাতে পারবি কিনা বল? ও এই ব্যাপারে খুবই উস্তাদ তাই বলল ঠিকানা কোথায়? আমি জানালাম বাসার ঠিকানা। আমাকে জানাল ২০ মিনিট লাগবে একটু ধৈর্য্য ধরে বসে থাক আমি আসছি...................................................................

আসলো আমার বন্ধু কিন্তু তাহাদের আর খোঁজ পাইনা। বেশ অপেক্ষা করার পর তারা আসিল ২টিমে, এক টিম আসার আধা ঘন্টা পর অন্য টিম। সবাইকে নিয়ে বসলো ও কথা বলে কি যেন বোঝালো তারপর থেকে সবাই আমাদের দুজনের সাথে স্বাভাবিকভাবে কথা বলা শুরু করলো। আমার বন্ধু বিদায় নেওয়ার সময় বললো আর কিছু মনে হলে আমাকে জানাস, তবে আর কিছু হবে বলে মনে হয় না। ......


এরপর রাত আটটার দিকে টিমের লিডারের দেখা পেলাম,সে তো দেখি আমাদের সমস্যা দূরীভূত করার জন্য ব্যস্ত। তাকে বললাম কিছু সমস্যা আছে সেগুলো মিটিয়ে দিলে আমাদের আর কোন সমস্যা নাই। সে দেখি তাতেই রাজী।

 রাতে সবাই গাড়ীতে করে বাইরে গেলাম ডিনার করার জন্য।দেড় কিলোমিটারের মত যেতে হলো। কিন্তু কিছু মেয়ে ছিল বেশ উচ্ছৃঙ্খল। ওরা ড্রাইভারকে দিয়ে এটা সেটা কাজ করিয়ে নিচ্ছে কিন্তু একসাথে কোন কিছু চাইছে না। আমি তো বিরক্ত কারণ এভাবে রাত ১০টা ৪৫ মি. ডিনার করার পর ১১টা ৩০ মি. পযর্ন্ত কেনা কাটায় খুবই ব্যস্ত সেই অবস্থা দেখে। একে তো লোকাল এরিয়া তারপর মেয়েদের উৎপাত। সেই সাথে নাকি সুরে তীক্ষ আওয়াজে কথা বলা।উঃ কি যে বিশ্রি অবস্থা তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।.........................................................................................................................................................

রাতে টিমের অন্য সদস্যরা আসলো। তখন রাত ১টা বাজে। এসে তারা আমাদের খোঁজ জানতে চাইলো আমাদের সাথে কথা না বলে শুধু চেহারা দেখে চলে গেল। আমি এমন কান্ড দেখে হতাশ। এগুলো কি হচ্ছে। ফোনের যুগ তাই আমাদের খবর চারিদিকে ছড়িয়েছে।


রাতে আমার ঘুমাতে যেতে হলো শেয়ার করে। আমি এটা একদম পছন্দ করি না। ঘুমাতে হলো রাত ২টার দিকে। আমার পাশের জন তো ফোনালাপে মশগুল আমি উসখুস করছি কারণ আমি এমন পরিবেশে কখনো ঘুমাতে পারি না। আমার বাসায় কোন গেস্ট আসলে মাকে আগে থেকে জানিয়ে দিতাম আমার রুমে কাউকে দিবে না যদি কিছু লাগে সেটা নিয়ে যাও কিন্তু আমি আমার ঘুমের বারটা বাজাতে পারবো না। কিন্তু আমার ঘুমের আজ বারটা বেজে তেরর কাটায় ঝুলছে। তো ফোনালাপ একজন চালালেন ভোর ৪টা ৪০মি. পযর্ন্ত তারপর বাথরুম তারপর ঘুম। আমি অন্যপাশ ফিরছি এরমধ্যে অন্যজন যে ছিল ঘুমিয়ে সে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে গেল, ফিরে এসে সে শুরুকরলো ফনোলাপ............

আমি ভাবছি কোথায় আসলাম আমি তো আর পাগল হতে বেশি সময় নিবো না কারণ রাতে ভলো ঘুম না হলে সারাদিন মাথা ঝিমঝিম করে। আমি তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম মানিনা টিমের নিয়ম একটু পরেই রোদ ঝলমল করবে তখনই বাসাই চলে যাবো। আমার আর দরকার নেই কোন ভালো কাজের। আমি বেকার আছি বেকারই থাকবো তবু নিজেকে অন্যদের কাছে এভাবে ক্ষুদ্র থাকতে দিবো না। যেই ভাবা সেই কাজ দিলাম ছুট সাথের জনকে ফেলে, সে আমার সাথে চলে যেতে চাই আমি তাকে বোঝালাম তোমার বিল আমি পাশ করিয়ে দিচ্ছি তুমি থাকো। এই কথা বলে লিডারের সাথে দেখা করলাম। সে আমার পায়ে পযর্ন্ত ধরে টিমে কাজ করার জন্য কিন্তু আমি অনড় যা বলেছি তাই করবো একচুল কেউ নড়াতে পারবে না। আমার সাথের জন্য বিল পাশ করালাম সে তার কাকার বাসায় থেকে কাজ করবে। আর লিডার কে বললাম ভয়ের কিছু নাই আমি আমার বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবো কোন সমস্যা হবে না।

তারপর ফিরলাম আমার শ্রীনিকেতনে................................দিলাম শান্তির ঘুম। আঃ পৃথিবীতে এটার মত সুখ আর কোথাও নেই।






মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি