লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

আজকের কথা



আজ ২রা এপ্রিল২০১৩ ইং। আকাশটা মেঘাচ্ছন্ন, বাতাস হাল্কা ঠান্ডা। প্রকৃতির মাঝে যেন এক অন্যরকম বোঝাপড়া চলছে। সবকিছু সে নিরবে সহ্য করে আর পারছে না সেই ভারত্বকে ধরে রাখতে। তাই যখন তখন সে তার ভাবমূর্তি নিয়ে আর্বিভূত হতে পারে।

আর প্রকৃতিরই বা কী দোষ। আমরা যারা এই পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষেরা প্রতিনিয়ত পৃথিবীকে সমানে অত্যাচার করে চলেছি। যে মাটিকে আকড়ে ধরে আমরা জনপদ দিনের পর দিন গড়ে তুলেছি সেই জায়গা পর্যন্ত আমরা বিষাক্ত করে তুলেছি। পৃথিবী আর কত সহ্য করবে !

অন্যায় ভাবে আমরা দিনের পর দিন মানুষ হত্যা করে চলেছি, দেশের সম্পদ লুট করা, নষ্ট করা, মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধকে হারিয়ে তাদেরকে নৃশংস ভাবে অবমাননা করে চলা, ভালোবাসার মতো স্বর্গকে নরকের দিকে ঠেলে দেওয়া, রাজনীতি নিয়ে দুরন্ত ঝড়ে সবাইকে উল্টে-পাল্টে নিবিষ্ট করা, শাষণের দহনে ভুক্তভোগীদের মেরে ফেলা, মানুষ নামের শান্তি প্রতিষ্ঠায় মানুষের জীবনকে আরো বেশি নৈরাজ্যের বিড়ম্বনার শিকার করে তোলা, প্রযুক্তির যুগে বাস করে তার সুবিধা যেমন পাচ্ছি তেমনি তার দ্বিগুন পরিমান অসুবিধা ভোগ করে চলেছি, মানুষের সূচনা লগ্ন থেকে এই অবধি মেয়েরা যারা আছে তারা শারীরিক-মানষিক ভাবে র্নিযাতিত তেমনি বর্তমান সমাজে পন্য হিসেবে বেশি সমাদৃত, যদিও বলা হয় নারী-পুরূষ সমান অধিকার তবু সেটা কখনো সমান দৃষ্টিভঙ্গীর নয়, আমরা যখন নৈরাজ্য আর বিশৃংখলায় ব্যাস্ত তখন আমরা বিভিন্ন ধর্ম দিয়ে তার বিচার-গুন করে চলেছি, আর্ত মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার মতো মানসিকতা আমাদের ভেতর তখন জন্মায় যখন আর কোন পথ থাকে না সেই পথ থেকে তাকে বাঁচানোর যে পথে সে বহু আগেই পৌঁছে গিয়েছে, আমরা সভ্যতার সব এতো দারূণ সব রূচি সম্পন্ন মানুষ যারা প্রতিনিয়ত আছি কীভাবে অন্যের সুখকে কেড়ে নিতে হয়, কীভাবে এই পৃথিবীর বুকে আমাদের সুন্দর আত্মার মৃত্যু ঘটে থাকে। আমরা মানুষরাই এই পৃথিবীর সৌন্দর্যকে নির্মম ভাবে হত্যা করে চলেছি প্রতিনিয়ত । কেমন মানুষ আমরা ? খুব জানতে ইচ্ছা করে আমরা মানুষরা আসলে কী চায়? কী আমাদের কাজ, কী করার আছে আমাদের, কী করলে সব মানুষ ধ্বংস-যজ্ঞে পরিণত হবে।

আর কে কী উত্তর দিবে আমার জানা নাই তবে বলতে পারি আমরা প্রতিটা সৃষ্টিকণা  পৃথিবীর সব প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছি কণিকার মতো, যেমন আমাদের সৃষ্টি রূপ হয়েছে তেমনি আমাদের ধ্বংসও আছে, মানুষের হাতে নয় পরম করূণাময় উপরওয়ালার হাতেই আমাদের অন্তিম ক্ষণ ।

পৃথিবীতে আমরা যত খারাপ মানুষ আছি তার মাঝে ভালো মানুষও আছে হয়তো সংখ্যাটা কম, তাই সবাই আমরা আমাদের কৃপন কৃত্তিমতাকে বর্জিত করে যদি সত্ত্যিকার ভাবে এই সুন্দর পৃথিবীকে ভালোবাসি তবে হয়তো আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি আমাদের দারূন সভ্যতাকে ।

কী বলেন সবাই ?

আমার ভেতরের কথাগুলো হয়তো আপনাদের ভেতরকার কথা নয়, হয়তো আপনাদের ভেতরর আবেগ, সত্তা অনেক বেশি প্রখর, সুন্দর, সাবলীল । আমি আমার বার্তা জানালাম যতটুকু আমি এই সুন্দর পৃথিবীকে জেনেছি।

জন্মের পর জেনেছি আমাদের পৃথিবী আছে, সেটা যেমন সুন্দর তেমনি তার রূপ যা একবার জন্ম গ্রহন করে সে রূপ দেখা শেষ হবে না। পৃথিবীর মাঝে অসংখ্য ছোট্ট দেশ আছে, তার মাঝে গ্রাম আছে, গ্রামের মাঝে ছোট ছোট ঘর আছে, সেই ঘরের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বয়ে চলা মানুষের প্রাণ আছে, আর প্রত্যেক মানুষের মাঝে লুকিয়ে থাকা স্বপ্নের কল্পনায়  আঁকা সুন্দর পৃথিবী আছে। আর এই পৃথিবী হচ্ছে সেই পৃথিবী যেখানে মানুষের ভালোর জন্য পরম করুণাময় সব কিছু দিয়ে রেখেছেন ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য ।

সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্ থাকুন, মনের মাঝে সব কিছুর কষ্টকে ছাড়িয়ে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি