লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

আজ সারাদিন........


আজ গিয়েছিলাম আলালপুর, ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জের একটি গ্রামে। আমার কাজ ছিল অতিদরিদ্র মানুষ কিভাবে স্বাস্থ্য সুবিধা পাচ্ছে তার সেবা কাছ থেকে দেখা। তো সেবা কর্মীরা ঠিকই সেবা দিচ্ছে কিন্তু তারপরও কোথায় যেন একটু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। যাই হোক আসল কথায় আসি। গেলাম এক বাসায়, সেই বাসার গৃহকর্তী ২দিন আগে মারা গিয়েছেন। পরিবারের অবস্থা বেশ স্বাভাবিক। গৃহকর্তী তার স্বামী ও ১টি মাত্র কন্যা সন্তানকে পৃথিবীতে রেখে গিয়েছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৫-৩৬ বছর বয়স। আর তার কন্যা পড়ালেখা করে এইচ.এস.সি ১ম বর্ষে। মহিলা এতো কিছু মাথায় রেখে ২য় সন্তানের মা হতে চাইনি। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার র্নিদেশে ঠিকই তিনি গর্ভবতী হন। যখন তার কনসেপ্ট হলো ৩-৪ মাস তখন তিনি সুস্বাস্থ্য ক্লিনিকে যান ভ্রুন নষ্ট করার জন্য। স্বাস্থ্য সেবিকা তাকে দেখে পরামর্শ দেন ভ্রুন হত্যা না করতে। কারণ এই সময় তার গাঠনিক সময় এবং ভ্রুন হত্যা করলে তার মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। সেবিকা তাকে অনেক বুঝিয়ে তাকে বাসায় ফেরত পাঠিয়ে দেয়। মহিলা কিছুদিন পর ঠিকই ভ্রুন হত্যা করে এবং সে প্রায়ই অসুস্থ্য থাকে কিন্তু সে কাউকে বলে না। এমনকি তার স্বামীও বিষয়টি জানে না। ভ্রুন হত্যার ২ মাসের মধ্যে তার জরায়ুতে ইনফেকশন দেখা দেয়। তার স্বামী তাকে নামিদামী ক্লিনিকে ভর্তি করায় এমনকী ডাক্তার অপারেশন করতে বললে সেটাও করানো হয়। কিন্তু মহিলার কোন জ্ঞান ফিরে আসে না। ৭দিন পরে সে মারা যায়। কিন্তু বিষয়টি অবাক হবার মতো তার স্বামী এখনো জানে না তার বউ কনসেপ্ট করেছিল। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কিন্তু সে একই উত্তর দেয় তার বউয়ের আর কোন সমস্যা ছিল না। আমি যখন তথ্যগুলো সংগ্রহ করলাম দেখলাম তার স্বামীর সাথে সে এই বিষয়ে কোন আলাপ-আলোচনা করেনি। মহিলা অন্য একজনকে স্বামী সাজিয়ে বন্ড সই দিয়ে ভ্রুন হত্যা করেছে । এই ধরনের বোকামী কেন করলো এখনো বুঝতে পারি নাই। তবে মহিলার স্বামীকে দেখে মনে হলো তিনি খুব শিঘ্রই বিয়ের পিড়িতে বসবেন। তার বয়স দেখে মনে হয় ২৮-৩০ বছরের যুবক কিন্তু তার আসল বয়স ৩৬-৩৭ বছর। দেখতে বেশ সুর্শন। আর তার মেয়েকে দেখলে মনে হয় তার বোন । এইতো ছিল পরিবেশ প্রতিকূলতা। যাই হোক সেখান থেকে বের হয়ে অন্যত্র গেলাম সেখানে দেখি ভিন্ন চিত্র। এরা একটার পর একটা সন্তানের জন্ম দিয়ৈ চলেছে। এদের কোন বিরতি নাই আর সন্তানদের কে বড় করতে হবে বা এদের ভবিষ্যত আছে সেটা নিয়ে কখনো মাথা ঘামায় না। এরপর দেখি একজন কান্না করে, জিজ্ঞেস করলাম কাঁদছেন কেন ? উত্তর আসলো ৩য় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সেটা কন্যা সন্তান, পূর্বের ২টিও কন্যা সন্তান । পরবর্তীতে অন্যত্র গেলাম সেখানে এক মায়ের ৪ জন পুত্র সন্তান তো সে কন্যা সন্তানের আশায় আবারও সন্তান ধারন করেছেন। এরপর আসলাম আর্তনাদকারী মায়ের কাছে। যার কোন সন্তান নাই। সে বলছে তার ছেলে হোক আর মেয়ে হোক তার যে কোন একটা হলেই চলবে। কারন তার কোন সন্তান হয় না। তাই তার একটা সন্তান হলেই যথেষ্ট। এই ছিল অবস্থা। প্রত্যেক পরিবারে আমি সর্বনিম্ন ৩টি সন্তানের জননী আর সর্বোচ্চ ৯টি সন্তানের জননীকে দেখলাম। প্রত্যেকেই প্রাকৃতিক নিয়মে সন্তান জন্ম দিচ্ছে এই নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা নাই। কী অদ্ভূত লাগলো এদের জীবন ব্যাবস্থা । এরা এতো সরল যে কল্পনা করা যাই না। মনের মাঝে এতটুকু কষ্ট নাই। উপরওয়ালা আছেন তিনিই দেখবেন । আর চিন্তা-ভাবনা করে কী হবে। আমিও দেখে দেখে মুগ্ধ হলাম এদের চিন্তা চেতনায়। আমাদের জীবন আর এদের জীবন কতই না পার্থক্য। আরও কতো কমবয়সী মেয়েকে দেখলাম যারা সন্তানের মা হতে চলেছে। যাদের বিয়ের বয়স ঠিকমত হয়নি ঠিক তারা। আজ সারাদিন শুধু এই চিত্রই দেখলাম। দুপুরে কোন খাবারই খেলাম না । আর খেতেও ইচ্ছা করছিলো না। তারপর একটু সজীবতা নেওয়ার জন্য ঘুরতে বের হলাম। সেখানে একজন গাইড পেলাম যে নিজের আগ্রহে আমাকে পুরো জায়গাটি ঘুরে দেখালো । আমার তখন মনটা বেশ ভালো হয়ে গেল। আর সকাল থেকে যে চিত্র আমার মাঝে ছিল সেটির দূষন অনেকটা কমে গেল। যাই হোক সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরলাম। যে রিক্মায় বাসায় ফিরছি তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা শুনে খুবই ভালো লাগলো। .....................

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি