লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

মুক্ত দিনের কথন.........!!!!!



 আজ আমারা গিয়েছিলাম নতুন দিনের শুরুতে বয়ে যাওয়া কিছু কাজের মাঝে। যেখানে ছিল কিছুক্ষণ গল্প আর আড্ডা দেওয়ার মাঝে কথোপকথন আর বাকি সময়টা ছিল ভ্রমন রসের অতল সাগরে। আমাদের সবার Romance ছিল নিগুড়তায় ভরা। এখানে রসের ঘাটতি ছিল ১জনের কারণ সে এখানে আগেই জায়গাটা পরির্দশন করেছিল। আর অন্য সবার এখানে কখনো পদক্ষেপ ঘটেনি । আমার উদাস মন ছুঁয়ে যাচ্ছিল পাহাড়ের গা ঘেঁসে যাওয়া দৃশ্যের দিকে। কখনও ভাবি নাই এমন ভাবে বাংলাদেশ মানে আমার মাতৃভূমিকে দেখার সুযোগ। যখনই দেখি আর মুগ্ধ হই। আমার সাথের কলিগরা সবাই তাদের উচ্ছ্বাসকে যেন শেষ করতে চাইছে না। তাদের মনের কথা বারবার ছুঁয়ে যাচ্ছেএক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কেউ নৌকার ছাঁদে উঠেছে কেউ বা ছাঁদের পাশে সম্মুখের ধারে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির সৌর্ন্দযকে উপভোগ করতে থাকে। আসলে প্রকৃতির যে রূপ রেখা এটাকে লিখে বর্ণনা করা যায় না। যতক্ষন না চোখে দেখা যায়!

আজ ১৭ই নভেম্বর ২০১২, অঘ্রায়নের ৪ তারিখ। অঘ্রায়নের ৪ তারিখ। ঘুম থেকে উঠে স্নান করে বাইরে এলাম আমরা তিন কলিগ। এসে নাস্তার জন্য আমাদের গাইডকে phone করলাম । সে বলল- শাহিনুরের রেস্টুরেন্টে খেতে। সেখানে আমরা তিন জন খেলাম। তারপর নৌকার দিকে যাওয়ার উদ্যোগ নিলাম। মাঝখানে বাবাকে স্মরন করলাম। আমার মামতো ভাই ছোট্ট অহনের জন্মদিন ছিল। তাকে wish করার জন্য খোঁজ করলাম, পেলাম না। যাইহোক আমরা সবাই নৌকায় উঠলাম। জানতে পারলাম আমাদের আজকের উদ্দ্যেশ্য ও গন্তব্যস্থান গজারিয়া সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় । সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে ২ঘন্টা ৩০ মিনিট । নৌকার ভেতরে বসার পর মনে হলো হিমের দেশে এসে পড়েছি । পরে নৌকার ছাঁদে যখন গেলাম তখন মনে হলো সৌর্ন্দযের বিস্ময় যেন চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। হিমের দেশের কথা সবাই যেন ভুলে গিয়েছি । সবাই ইচ্ছামত পেছনের দৃশ্যকে অবলোকন করে ছবি তুলে চলেছি। আমার এক কলিগ তার বন্ধুকে তার মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা অসম্ভব সুন্দরকে ফুটিয়ে তুলছে ফোনে কথা বলে। আর এই মুর্হূতের অনুভূতিটাকে জানিয়ে দিচ্ছে তার থেকে দূরে থাকা বন্ধুকে । যাকে বলে তার তৃপ্তি মিটে ঠিক তাকে। তাকে দেখে আমার হৃদয়ে ব্যাথা অনুভব করলাম। এই মুর্হূতে যদি কেউ একজন থাকতো, তাকে হয়তো আমিও আমার হৃদয়ের ব্যাকুলতা ও  Romantic Moment এর কথা জানাতে পারতাম। ঠিক সেই মুর্হূতে বাবাকে ফোন করলাম । একে একে বর্ণনা করলাম মেঘালয়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর রূপ। কী যে তার মহিমা তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। বাবাকে বলে চলেছি- সূর্যের আলো মেঘালয় পাহাড়ে পৌঁছে তার সৌন্দর্য বিষ্ফারিত হয়ে নদীর পানিতে পড়ছে, আর নদীর পানি চিকমিক করছে, ঠিকরে পড়া সূর্যের আলোয় আর বাঁকা নদীর মাঝে আটকে থাকা চরে বাঁধা ঘর, এইগুলো শুনে বলেন থাক আর বলতে হবে না, আমরাও আসবো দেখার জন্য। তুমি সবকিছুর ঠিকানা নিয়ে রেখ ভালোভাবে। তখনতো আমার Romantic কতা আর থামে না। তিন পুরুষ কলিগকে পেয়েছি যারা তিন জনই এমন অদ্ভুত সেটা বর্ণনাতীত । কখনও এদের মাঝে রস বোধের ছটা পাওয়া যায় আবার কখনও এতোই নিরস যে, কথা বলতে ইচ্ছা করে না। অবশেষে স্কুলে পৌঁছালাম।

এই গজারিয়ায় বাচ্চারা স্কুলে পড়ালেখা করে খুবই কষ্টে । এদের জীবন যাত্রা অন্যরকম। আমাদের মত নেই এদের শহরময় জটিল জীবন। এরা প্রত্যেকেই সহজ-সরল, নির্ভেজাল জীবন-যাপন করে। এদের নেই কোন বিদ্যুৎ, জলের ধারে বসবাস, ঘরে জ্বলে কুপির আলো। সন্ধ্যার পর সবাইকে বাড়ীতে পাওয়া যায়। যারা কাজে যায় তারা শুধু রাতে বাড়ীতে থাকে না । এই মানুষগুলোর তথ্য যখন পেলাম তখন অদ্ভুত লাগলো। আর জীবনটাকে মনে হলো অন্যরকম জীবন। বিভিন্ন মানুষের জীবন বিভিন্ন রকমের । 

ফেরার পথে নৌকায় উঠলাম। আবার সেই মেঘালয়ের কোল ঘেষে চলেছে আমাদের নৌকা। বিকালের সৌন্দর্য ছিল অন্যরকম। মেঘালয়ের পাহাড়ের দৃশ্য দেখছি কুয়াশাচ্ছন্ন রৌদ্রমাখা অবস্থায়। নদীতে চর পড়া ফসলের মাঠ। জেলেদের নৌকায় মাছের ঝাপি তারপাশে বসে থাকা দেড় থেকে দুই বৎসরের নগ্ন শিশু তার উকি দেওয়া মাছধরা জালের দিকে। কিছু রমনি স্নান করছে, কিছু রমনি কলস নিয়ে তীরে উঠে যাচ্ছে। 

আমাদের নৌকায় গজারিয়ার ২ জন Teacher উঠেছিলেন, তারা মনান ঘাট নামে একটা চরে নেমে গেলেন। 

আমাদের  নৌকা আবার যাত্রা শুরু করলো আমাদের গন্তব্য স্থানে। আমি যখন লিখছি তখন আমি নৌকার ভেতরে ছিলাম। দেখলাম নৌকার মাঝি তার থাকার স্থানে আমাদের বসার ব্যবস্থা করেছে। সেই স্থানটাতে বসার-শোয়ার ব্যবস্থা ছিল । কলিগরা কেউ কেউ শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন আবার কেউ সামনের দৃশ্য দেখে সময় পার করছিলো।মাঝির নৌকার ভেতরে পুরোপুরি সংসার দেখলাম। তার ব্যহৃত সব জিনিস ছিল। একটা নোটিস বোর্ডও দেখলাম, সেখানে লেখা আছে ''ধূমপান মুক্ত এলাকা'' আর ''থু থু বাহিরে ফেলুন" । আমার খুব ভালো লাগলো। সে মাঝি হয়ে কত সচেতন নাগরিক। নিজে পরিচ্ছন্ন আর সবাইকে সে বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে।

সারাদিনের ক্লান্তিমুখরতা নিয়ে ঘরে ফিরলাম। তারপরও খারাপ লাগেনি আমার শুন্য হৃদয়ের মাঝে বরং দারুন রোমাঞ্চ অনুভব করলাম।















মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি