তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি। আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।
লিঙ্ক পান
Facebook
X
Pinterest
ইমেল
অন্যান্য অ্যাপ
আমার আকাশ
লিঙ্ক পান
Facebook
X
Pinterest
ইমেল
অন্যান্য অ্যাপ
আমার আকাশ জুড়ে শুধুই অন্তহীনতা সেখানে হৃদয় নামের কেউ আছে বলে মনে হয় না কোন এক আবেগহীন বিষন্নতা জড়িয়ে থাকে এদিক সেদিক কী যে ব্যাথা আমায় জাগিয়ে রাখে র্নিঘুম প্রহরীর মতো আমি শত মা্ইলের পর মাইল পেরিয়ে গেলেও সেটা আমাকে ছাড়ে না আমি মনের বিষন্নতা রোধ করার জন্য যাচ্ছি বিশাল আকাশের কাছে ছুটে চলেছি পাহাড়ের ধারে নিঃশ্বাস নিচ্ছি সবুজ ঘাসের জঙ্গলে নৌকার মাঝে নিজেকে আড়াল করে হাওড়ের জলে পা ভিজিয়ে চেয়ে আছি দিগন্ত পানে কখনো দ্বীপের মতো হাওড়ের মাঝে ভেসে ওঠা ঘরবাড়ির দিকে স্বপনের জালে আটকে যাচ্ছি আবার মুগ্ধ নয়নে প্রকৃতির রুপের বন্দনা করে চলেছি অবাধ প্রেম বাধ্য হয়ে আবার হৃদয়ে আসন গেড়ে বসেছে
বিকালে মায়ের রুমে গেলাম। মাকে বললাম মা চা দাও। মা বলছে আর কিছু খেতে দিবে কিনা, আমি বললাম ইচ্ছা হলে দাও। বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে আমি মাঝে মাঝে বিকাল বেলা ছাদে যাই কিন্তু বৃষ্টির নৃত্যে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আমার রোডের সাথে বাসা, দুইজন বৃষ্টিতে আটকে যেতে পারেনি তাই আমার বাসার বেলকনিতে বসে আছে। একটু বৃষ্টি ঝরা কম হলে তারা চলে যাই । মা পাশে এসে বসলো, বাবা উঠে বাইরে চলে গেলেন। সেই সময়ে আমাদের একজন প্রতিবেশি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, মা তাকে ডাক দিলেন, বললেন কোথায় যাচ্ছো বৌমা? সে উত্তর দেয় মা অনেক বিপদের মাঝে ছিলাম, এখন বাসায় যাচ্ছি। ভেতরে এস কি হয়েছে বল! আমি বাইরের গেট খুলে দিলাম, বৌমা ভেতরে আসলো। তাকে বসতে দিয়ে আর ১ কাপ চা বানাতে দিলাম যদিও আমি চা ভালো বানাতে পারি না। বেলকুনিতেই বসে মায়ের সাথে গল্প শুরু করেছে। আমি শোনার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসলাম। গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক। গল্পটা এমন- বৌমার ভাইয়ের মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছেন যেখানে সেই এলাকাটি জটিল দুর্ধষ, এখানকার মানুষ দিনে দুপুরে মানুষ খুনখারাবি করে, এবং এরা এতটাই নিজেদের সাথে সম্পৃক্ত যে কেউ কারো ...
তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার তুমি শুধুই আমার একান্ত সত্ত্বা................ নিঃশ্চুপ চারিধার একা জেগে আছি আমি তোমার কথা ভেবে ভেবে- সময় আমার কাটে না, তুমি হৃদয় গভীরে দিলে ক্ষত দাগ ! আকাশে বিরোহী চাঁদ, গাইছে গান বুকের মাঝে কিসের দহন দেখা দেয়, মন পড়ে রয় কোন এক অজানা আঁধারে , নিজেকে পোড়ায় নিজের কাতরতায়, বাইরে প্রভা ভেতরে বর্ষা ! দূর পাহাড়ে মনবীণা বেজে যায় নিশুতি পোকার মধুর টানে.... এই বিভাবরী বড়ই ক্লান্ত ধরণীর বুকে নিজেকে ছেড়ে দিবো হয়তো কোন একদিন !
বাসায় ফিরলাম পরীক্ষা শেষে। ফেরার পথে ফেরিতে যখন গাড়ী উঠেছিল তখন গাড়ী থেকে নেমে ফেরির উপর দাঁড়ালাম। নদীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম যতক্ষণ ফেরি পার হয়ে ঘাটে পৌঁছায়নি। খুব ভালো লাগছিল নদীর ঢেউ আর বাতাসের উদারতা। সে এক দারুন অনুভূতি। ঐ মুর্হূত টুকু প্রকুতির সাথে মিশে ছিলাম। যেন আমার পৃথিবী জুড়ে ছিল সম্পূর্ন আমার রাজ্য। সময়টা ছিল গোধূলি লগ্ন। আর আকাশের অবস্থা ছিল মেঘ বলয়ের মাঝে নিবদ্ধ। আমার আশ-পাশের মানুষগুলি ছিল তাদের মাঝে। আমি সেদিকে কোন খেয়াল রাখি নাই। এরপর গাড়ী ছাড়ার সময় আমার সিটে বসলাম। কেউ ছিল পদ্মার ইলিশ কেনার মাঝে দেখলাম আমার সিটের পাশে জানালা দিয়ে। আমার শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। আমি সিটটা ফোল্ডিং করে চোখ বন্ধ করে রাখলাম। কিন্তু বুকে পিঠে বেশ যন্ত্রনা করে চলেছে। কিছুতেই ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছে বাসায় পৌঁছাতে পারবো কিনা জানি না। কিছুক্ষণ পরে আমার সমস্ত শরীরে যন্ত্রণার ঢেউ বয়ে চলেছে, আমি কোন শব্দ করতে পারছি না, কিন্তু চোখ দিয়ে সমানে জল গড়িয়ে পড়ছে। আর মনে হচ্ছে এমন অবস্থায় মানুষ কেন নেশা কিংবা নিজেকে অন্য কিছু দিয়ে হত্যা করতে চেষ্টা করে। আমার মনে হচ্ছে মৃত্যু কে স...
আমি যেন সেই পুরোনো হলুদ রঙ করা ইটে মরিচা ধরা বাড়ীর কথা ভুলতে পারছি না। সেখানে কতগুলো যে রুম তা গননার বাইরে, প্রত্যেকটি রুমের ব্যক্তির জন্য আলাদা করে থাকার ব্যবস্থা । কিন্তু বাসায় আত্মীয়-স্বজন এলে আমার রুম দখলে চলে যায়। আমার আর সেখানে জায়গা হয় না,, অন্য রুম খালি পড়ে থাকবে তবু তারা সেখানে যাবে না। একটাই কারণ রাত হলেই ভূতের ভয় আর দিনের বেলা সবাই তা আর মনে রাখে না - এই হলো কাহিনী। আমাদের পরিবারে এতো বেশি সংখ্যক প্রজাতি একসাথে বাস করেছি যে আজ সেই বাড়িটা খাঁ খাঁ করে, সবাই জীবন- জীবিকার তাগিদে যার যার মত ব্যস্ত। আমার তখন মায়ের সাথে ঘুমাতে হয়। অন্য রুম গুলো তো ফাঁকাই থাকে, ইচ্ছা করলে সেখানে ঘুমুতে পারি কিন্তু আমার ও অন্য রুমে একা একা ঘুম আসে না, কেমন জানি ভয় ভয় করে। আমার রুমে আমি একা থাকলেও ভয় করে না, অন্য রুমে আমি অভ্যস্ত না। প্রত্যেকটি রুম একটার সাথে আর একটা লাগোয়া, বড় উঠান, গাছ পালায় ভর্তি বিশেষ করে আমগাছ বাড়ীটার সাক্ষী হয়ে আছে। বর্গক্ষেত্রের মত দেখতে, বাড়ীর ভেতরেও বাগান, বাইরেও বাগান, পিছনের দিকে বড় পুকুর আছে, সেটা ঘিরেও বাগান, তারপর ফস...
এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে রমনার ঊর্দ্ধমুখী কৃষ্ণচূড়ার নিচে যেখানে আগুনের ফুলকির মতো এখানে-ওখানে জ্বলছে অসংখ্য রক্তের আলপনা, সেখানে আমি কাঁদতে আসানি । আজ আমি শোকে বিহবল নই, আজ আমি ক্রোধে উন্মত্ত নই আজ আমি রক্তের গৌরবে অভিষিক্ত । যে শিশু আর কোনদিন তার পিতার কোলো ঝাপিয়ে পড়ার সুযোগ পাবে না, যে গৃহবধু আর কোনদিন তার স্বামীর প্রতীক্ষায় আঁচলে প্রদীপ ঢেকে দুয়ারে আর দাঁড়িয়ে থাকবে না, যে জননী খোকা এসেছে বলে উদ্দাম আনন্দে সন্তানকে আর বুকে জড়িয়ে ধরতে পারবে না, যে তরুণ মাটির কোলে লুটিয়ে পড়ার আগে বারবার একটি প্রিয়তমার ছবি চোখে আনতে চেষ্টা করেছিল, সে অসংখ্য ভাইবোনদের নামে আমার হাজার ভাইবোনদের নামে আমার হাজার বছরের ঐতিয্যে লালিত যে ভাষায় আমি মাকে সম্বোধনে অভ্যস্ত সেই ভাষা ও স্বদেশের নামে এখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আমি তাদের ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি যারা আমার অসংখ্য ভাইবোনকে র্নিবিচারে হত্যা করেছে । ওরা চল্লিশ জন কিম্বা আরো বেশি যারা প্রাণ দিয়ে ওখানে রমনার রৌদ্রদগ্ধ কৃষ্ণচূড়া গাছের তলায় ভাষার জন্য মাতৃভাষার জন্য বাংলার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে ওখান...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন