লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

ব্যাতায় বুড়ির গল্প

















 আজ একটা গল্প বলি -
আমাদের গাঁয়ে ব্যাতায় বুড়ি নামে একজন বুড়িমা ছিলেন । তিনি নিয়মিত তার কাজ গুলি করে চলতেন, কখনো ফাঁকি
বাজি করতেন না । তিনি কাজ করতেন জমিদার বাড়ীতে। একদিন জমিদার পূজা দিতে যাবেন ঠিক করলেন বাসার 
বাইরে অর্থাৎ তিনি বরাবরই বাড়ীতে পূজা দেন । এই বছর তিনি ঠিক করেছেন গঙ্গার ধারে পূজা দিবেন । 
জমিদার যা ভাবলেন তাই করলেন । ঠিক সময়ে পূজা আসলো তখন তিনি লোকজন, সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত হলেন 
পূজা দিতে যাওয়ার জন্য । তিনি যাওয়ার আগে সবার কাছ থেকে সব আর্জি শুনলেন এবং সবার মনবাসনা পূর্ণ
হয় সেই প্রার্থনা করবেন জানালেন । এই বলে জমিদার রওনা দিলেন জাহাজে ওঠার জন্য, হঠাৎ তার ব্যাতায়
বুড়ির কথা মনে পড়লো । সবার কথা তিনি শুনেছেন কিন্তু তার কথা শোনেননি । জমিদার বাড়ীতে ব্যাতায় বুড়ি
কাজ করতেন দীর্ঘ দিন ধরে, তাই জমিদারের মায়া হলো । আর সবাই সব কিছু দূর্গা মায়ের কাছে আর্জি করেছে
কিন্তু ব্যাতায় বুড়ি কিছুই চাইনি । জমিদার কেশব চন্দ্র রায় যখন নিজে থেকে ব্যাতায় বুড়িকে জিজ্ঞেস করলেন
বুড়িমা আমি তো পূজা দিতে যাচ্ছি, সবার আর্জি তো শুনেছি এখন আপনার আর্জি কী ! দূর্গা মা কে কী বলবো
আপনার কথা । ব্যাতায় বুড়ি বললেন- বাবা আমার কোন আর্জি নাই । কেশব চন্দ্র বললেন- বুড়ি মা কিছু কী
দেয়া লাগবে ? তখন বুড়ি মা একটি পাতায় করে কিছু ফুল আর বাতসা দিলেন, বললেন পূজা শেষে গঙ্গার জলে
ভাসিয়ে দিও । কেশব চন্দ্র রায় ঐ গুলো নিয়ে জাহাজে উঠলেন । তিনি যাত্রা শুরু করলেন পূজা র্পাবনের উদ্দ্যেশে ।
..........
.................................................
...................................................................................
সব কিছু ভালো ভাবে সম্পন্ন হয়েছে । আর সবার আর্জিও জমিদার দূর্গামায়ের কাছে বলেছেন । বিজয়া দশমীর দিন
এর সব কর্ম কান্ড সমাপ্ত করে পরিবারের সবাইকে জাহাজে ওঠার নির্দেশ দিলেন । সবাই জাহাজে যথাসময়ে উঠলো,
জমিদার তার নিজের কক্ষে গেলেন দেখলেন ব্যাতায় বুড়ির দেয়া শুকনো পাতায় জড়ানো ফুল আর বাতসা, যা কয়েক দিনে শুকিয়ে গিয়ছে । তিনি ভাবলেন বুড়িমা বাড়ী গেলে যদি জানতে চান দিয়েছি কিনা তখন তো বলা মুশকিল
হয়ে পড়বে । তখন তিনি কী ভেবে একজন পেয়াদাকে এগুলো হাতে দিয়ে বললেন নদীতে ফেলে দিয়ে এসো ।
পেয়াদা তাই করলো । পেয়াদা যখনই ঐ গুলো পানিতে ফেললো আর তখনই পানির মধ্যে থেকে ঘূর্ণি পাকের মত তৈরী
হয়ে ফুল আর বাতসা নিয়ে গেল । সবাই এই দৃশ্য দেখে অবাক, গঙ্গার শান্ত পানি হঠাৎ এমন করে গ্রাস করলো কেন?
এর কারণই বা কী? আর কারো কোন কিছু এই ভাবে নেয় নি । এতো দিন সবাই পূজা দিচ্ছে কিন্তু স্বয়ং মায়ের
এমন রূপ দেখিনি । গঙ্গা মা নিজ হাতে এই ফুল আর বাতসা নিয় যাচ্ছে ?
 কে এই ব্যাতায় বুড়ি ? কী তার পরিচয় । আমাদের কারো প্রসাদ গ্রহন করেনি অথচ ঐ সামান্য বুড়ির প্রসাদ গ্রহন
করছে ? কে এই বুড়ি ? জমিদার তখন ব্যাতায় বুড়িকে ধরার জন্য তাড়াতাড়ি জাহাজ ছাড়তে বললেন..............


(এখন বলি কে এই ব্যাতায় বুড়ি?
ব্যাতায় বুড়িরা ছিলেন তিন বোন- গঙ্গা, মেঘনা আর যমুনা । এই তিন জনের এক জন হলেন ব্যাতায় বুড়ি ।
হঠাৎ একদিন ব্যাতায় বুড়ি কোন একটা কারণে অভিশপ্ত হয় । তারপর থেকে ব্যাতায় বুড়ি ঐ জমিদার বাড়ীতে
কাজ করে । আর আজ তার কাজের সাজা মাফ হওয়ার পর তার দেওয়া প্রসাদ  গ্রহন করেছে গঙ্গা মা ।)



জমিদার বাড়ী সরগরম হয়ে উঠলো ব্যাতায় বুড়িকে ধরার জন্য । ব্যাতায় বুড়ি তখনই বুঝতে পারে জমিদারের
লোকজন এগিয়ে আসছে তাকে ধরার জন্য । তখনই বুড়ি যে ঘরখানাতে থাকতো তার পিছনের দিক থেকে
পলায়ন শুরু করে । আর যেদিক থেকে বুড়ি যায় সেদিকেই পানির ক্যানাল তৈরী হয় । আর লোকজন তার পিছু
নেয় , বুড়ি যেখানে যেখানে দাঁড়িয়ে দম(নিঃশ্বাস) নেয় সেখানেই দোহার (গভীর ক্ষত) সৃষ্টি হয় । তারপর বুড়ি
গঙ্গার সাথে মিশে গেল । তাকে আর পাওয়া গেল  না ।


                                                         সমাপ্ত












মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ষক

তোমায় ছাড়া কিছু ভালো লাগে না আমার

পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরা...!!!

আমি এমনিতেই তোমাকে ফোন করেছি,সত্যি বলছি, আমি ঘুমের মাঝে নেই।

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি