পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লৈখিক কথপোকথন প্রকাশিত হয়েছে

তোমায় ভালোবাসি

ছবি
তোমার জন্য নেশা আজ বেশি করে ধরেছে- চোখে স্বপ্ন এঁকেছি শুধু তোমার আবেগে ভেসে কোন কাজে মন বসে না, রাতে ঘুম আসে না, তোমায় ভেবে ভেবে আমার কিছুটি হয় না, তোমায় যে আমি সত্তি সত্তি ভালোবেসেছি। আমার জীবনে একমাত্রই তুমি, আছো তুমি এ হৃদয়ের গহীনে নিঃশব্দ তোমার আসা-যাওয়া আমার মাঝে অনুভবে কবিতার ছন্দ তালে তোমায় ধরে রেখেছি।  আসো না একবার ছুটে- বলনা একটু - ”তোমায় ভালোবাসি”।।

সংস্কুতির ডুব!!!

আমার জ্বর যেন শরীর থেকে উধাও হচ্ছে না। আমি মনে হয় বয়সের ভরে নুইয়ে পড়ছি। আমার কোন শক্তি নাই। শুধু ঘুমের জগতে বাস করছি। আর ঘুম থেকে উঠার পর মনে হচ্ছে অচেনা কোন এক জগতে বাস করছি। মনকে চাঙ্গা করার জন্যে একশনধর্মী, কারাতে মুভি দেখছি। আমার ঔ মুভি গুলি দেখা, তারপরও সেগুলি দেখছি। আমি প্রকৃতির সান্ন্যিধ্যে বসে মুভি দেখছি, ছাদের উপরে বসে। কিছুক্ষণ পর আমার মামাতো বোন, ভাগ্নী ওরা এসে খেলতে বসে গিয়েছে। ওরা ওদের মতো খেলছে আর আমি মুভিতে একবার আর আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। এরমাঝে আমি ওদের জোর স্বরে কথা বলায় সম্বিত ফিরে পেলাম। ওরা বলছে- জয় মা দূর্গা, জয় আল্লাহ- আল্লাহ, জয় ঠাকুর, ও বুদ্ধ , ও আল্লাহ,      ও গড............................................... জয় মা কালী এগুলো বলে কি একটা নৃত্য দিলো তারপর একজন অন্যজনকে বলছে আমরা তো মিথ্যা মিথ্যা খেলছি। আমি ওদের এগুলো দেখে কিছুই বলি নাই, কারণ ওরা সব কিছুই অনুকরণ করে। ওদের প্রত্যেকের বয়স পাশাপাশি-৪, সাড়ে ৪, ৫বছর পর্যন্ত বয়স। এরা টেলিভিশন দেখে হিন্দিতে মাঝে মাঝে কথা বলার চেষ্টা করে, নৃত্য করে, বাংলা সিরিয়াল দেখে ওরা অভিনয় করে ঠিক য...

ঘুম থেকে উঠতে শুনতে পেলাম ২টি হট নিউজ।

ঘুম থেকে উঠতে শুনতে পেলাম ২টি হট নিউজ। একটি হলো ঘরের গৃহবধূ স্বামীর সাথে ঝগড়া করে গলায় দড়ি ঝুলিয়েছিল, পরে তার স্বামী বুঝতে পেরে তাকে ক্লিনিকে ভর্তি করে, তখন গৃহবধূটি বেঁচে যায়। দ্বিতীয়টি হলো আমাদের প্রতিবেশী মামাকে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত করেছে। রাতে তাহার দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরছিল ঠিক সেই সময়ে তাকে আঘাত করে। আমি আর আমার কুট্টি ভাই গেলাম তাকে দেখতে। তাকে দেখে বেশ মর্মাহত হলাম কারণ তার শরীরের কয়েক জায়গায় কোপ দিয়েছে। সেগুলি ব্যান্ডেজ দিয়ে আটকানো। আমি বললাম মামা কখন ফিরছিলেন বাসায়? বলল- মনি আর বলো না প্রতিদিন একই সময়ে বাসায় ফিরি কিন্তু কখনো এমন হয় নাই। আমার দোকান বন্ধ করে মাত্র ৫০ কদম সামনে আসতেই রাস্তার দুই গলি দিয়ে আমাকে ঘিরে ধরেছে, আমার শক্তি দিয়ে তাদের মুখোশ খোলার চেষ্টা করছি আর বলছি তোমরা কারা? কিন্তু কেউ কথা বলে না। আমি চিৎকার করছি ছিনতাইকারী, ডাকাত কে আছো আমাকে বাঁচাও, আমার ডাকে কেউ আসেনি। আমি দেখলাম আমি যেখানে দাঁড়িয়ে সেখানের ফ্লাটের মানুষ তখনও ঘুমায়নি , তারা বাসার মাঝে কথা বলছে, রুমে টিভি চলছে । আমি অবাক হলাম আমার চিৎকারে তারা টিভি বন্ধ করে দিলো এবং তাদে...

লেখার মত কোন মানসিকতা ফিরে পাচ্ছি না।

লেখার মত কোন মানসিকতা ফিরে পাচ্ছি না। দিনে দিনে বেশ ক্লান্ত অনুভব করে চলেছি। বাঁচার মত করে বাঁচতে চাইছি কিন্তু সেটাও সম্ভবপর হয়ে উঠছে না। আজ সারাদিনে তেমন কিছু করি নাই মাঝখান থেকে মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি করেছি আর আমার কুট্টি ভাইকে বাসার বাইরে সময় কাটানোর জন্য বকা দিয়েছি। ও সকালে নাস্তা শেষ করে বের হয়েছে আর বাসায় ফিরেছে রাত ৮টা ২০মিনিটে, এরমাঝে সে কোন ফোন পর্যন্ত করেনি। বাসার প্রত্যেকটি সদস্য টেনশন করে সময় কাটিয়েছে। ও বাসায় আসার পরে কোন কথা বলেনি তবে আমি ধমকের সুরে কথা বলে উত্তর জেনে বেশ বকা দিয়েছি। আমার কাউকে বকা দিতে ভালো লাগে না । যাইহোক কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না কারণ মনের জোর একেবারেই পাচ্ছি না। কিভাবে যে এটাকে অর্জন করবো সেটা আমার মাথায় নাই।

উফ: মাথাটা এবারে আরো বিগড়ে গেল, এসব কি হচ্ছে!!!

মানুষের জীবনে অসাধারণ বলে কিছু থাকে কিন্তু আমার জীবনে হয়তো সেটা নেই। কিভাবে জীবনের মূল্য দিতে হয় প্রতিটি মুর্হূতে তার কবলে পড়ে যাচ্ছি আর বুঝতে পারছি। দিন যায় রাতের আঁধার নামে, প্রতিটি দিনের মত, এ আর নতুন কি! কিন্তু কিছু কষ্ট হাজার চেষ্টা করেও সমাধান করা যায় না।  জ্বর একটু কমে যাওয়ার পর বাইরের বেলকুনিতে বসলাম। মানসিক অবস্থা আমার খুবই খারাপ। মনে হচ্ছে সব কিছু ভেঙে গুড়িয়ে দিতে পারতাম তাহলে হয়তো মনের ভেতরটা শান্ত হতো। কিন্তু সেটা হবার নয়, কারণ গড়া অন্যের সম্পদ সেটা তো আর আমি নষ্ট করতে পারি না। এই বলিয়া আমি নিজেকে শান্ত করিলাম।  পড়ন্ত বিকালের রোদের দিকে চেয়ে আছি, সেই সময় আমাদের পাড়ার বৌমা আমাকে বলছে- কেমন আছো এখন, শরীর ভালো তো? অবহেলা ভরে বললাম ভালো। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম- তোমার ভাইয়ের মেয়েকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়েছো? তার স্বামীর নামে থানায় ডায়েরি করেছো? (গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই লোমহর্ ষক- তার শেষ কথাগুলি) আমাকে অবাক করে দিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিলো। মেয়েটাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়েছে, তাকে বাড়ীতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, হাসপাতালে একদিন...

কিছুদিন যাবৎ অসুস্থতার মাঝেই আছি।

কিছুদিন যাবৎ অসুস্থতার মাঝেই আছি। কোন কিছু ভালো লাগে না। খুবই অস্থির লাগে। ভিজেছিলাম চরম ঝুম বৃষ্টির মাঝে। আমার কুট্টি ভাইটি বাসায় এসেছে। ওর পরীক্ষা শেষ হয়েছে । এখন আমরা প্লান করি কবে কোথায় যাব। ওর সাথে জমিয়ে আড্ডা দিই। এখন ওই আমার বন্ধু। কিন্তু ধরা তো পড়লাম অসুস্থ হয়ে। আমার খেতে ইচ্ছা করে না তবু ওই আমাকে জোর করে খেতে দিবে। কারণ মা-বাবা বকা দিয়ে খেতে দেয় আর ও এগুলো না করে খাবার মুখের সামনে তুলে বলবে খেতে । আমি আর মাকে পাইনি যে ফাঁকি দিবো। বরং খেয়েই বলি আর খেতে পারছি না তুই এগুলো খেয়ে নিবি। তখন আমার ভাইটি বলবে যাক বাবা আজকের মত ঝামেলা মুক্ত হলাম কাল কি হবে কে জানে। কারণ খাওয়া নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়।  আমি অসুস্থ হলে বাসার সবাই ভিষন মন খারাপ করে থাকে। মনে হয় আমি নই ওরা অসুস্থ। সব কিছুতেই বিষাদের ছোঁয়া লেগেছে।