প্রকৃতির রুপে মুগ্ধময় সত্তা

বন্ধু তুমি আছো বলে এই পৃথিবীতে আমি আছি তোমার দেয়া  প্রতিটি সময় আমার স্বর্গের সমান বন্ধু তুমি অধরা হয়ো না কখনো আমার জীবন থেকে ভেঙো না আমাদের ঐশ্বরিক বন্ধনকে ! যেখানে পৃথিবীর সবকিছু বিলিন হবে তবু আমাদের বন্ধন টিকে থাকবে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গেলেও তুমি থাকবে হৃদয় সিংহাসনে।

আমার একটা করে দিন যায় আর ভাবনা নামের উদয় হয় কবে আমি আমার ভাবনা গুলিকে কাউকে দিয়ে পরিতৃপ্তির শ্বাস নিবো কর্তব্য গুলিকে কাউকে দিয়ে প্রশান্তির ইতিহাস রচনা করবো স্বাধীনতার নামে পরাধীনতাকে রুখে ইচ্ছামতো বেড়াবো

নব রুপে তুমি আর্বিভূত হয়েছো কি দিয়ে তোমায় অভ্যর্থনা জানাবো ভাষা নেইতো আমার, তোমার পর্দাপনে বিশ্ব আজ হয়েছে সজ্জিত তোমার ফিরে আসায় সত্যিই আমি সিক্ত তুমি কী সত্যি না মরিচীকা! ভাবতেই আমার যেন কষ্ট হচ্ছে এটাকে আমি কী বলে অনুকরণ করতে পারি? কীভাবে আমি বরণ করবো জয়ধ্বনি নাকি দিকবিজয়ী রূপে!

দিওনা মায়া আমাকে ত্যাগ করো আমাকে বলেছি তো-ভালোবাসি না তোমাকে ফিরে এসো না আমার কাছে কোন বন্ধনে বেধোঁ না আমাকে হারিয়ে যাও আমার জীবন থেকে তোমার আলোতে পথ চলতে চাই না ঋণী হতে চাই না এ জীবনের কাছে, একা থাকতে চাই আমি শুধুই একা, লাগবে না আমার কারো সহনীয়তা শুধু বলবো বলো না আমাকে তোমার হৃদয়ের কথা আমি ভালো আছি, আমাকে ভালো থাকতে দাও । 

জানালার দিকে তাকিয়ে তোমার আমার ভাবনা গুলি বলি আকাশকে অজানা ভাবনা আমাকে এলোমেলো করে দেয় না বলতে পারা কথাগুলি অভিমান হয়ে যায় হাল্কা হাওয়ায় হৃদয় সিক্ত হয়ে যায় ফিরে আসে সেই চেনা স্নিগ্ধতায় দুষ্টু হাওয়া কিছুটা সময় খেলা করে দখিনা দ্বারে আমাকে স্বাগতম জানায় তোমার কাছে পৌঁছে দেওয়ার ! চিত্ত আমায় বলে যায় যেও নাকো তুমি ঐ দুষ্টু হাওয়ার ডাকে- হারিয়ো না আর নিজেকে   । ভালোবাসা হঠাৎ জেগে উঠলে ক্লান্ত হয়ে ওঠে হৃদয় নত হতে হয় প্রকৃতির কাছে বিষাদ গ্রস্থ হতে হয় তোমার দেয়া অনুভূতির কাছে । তবু আমি বলবো আমার কথা আকাশকে আমার বানী ভাসিয়ে দেব তোমার কাছে, মনের ভেতর রাখবো না ক্লান্ততা প্রশান্তিতে ছড়িয়ে দেব আমার চারপাশ কে ।

 হাসলে তোমায় লাগে ভালো তোমার চোখে মুখে ঝিলিক খেলে যায় আমার গল্প ফুরায়  তোমার উচ্ছ্বাসের হয় না শেষ কখন যে কী কর তা্ও ভাবো না এই যে তুমি মাঝে মাঝে কোথায় হারিয়ে যাও  তাও কি তুমি নিজেই বোঝ না তোমার গোমরা মুখ আমার লাগে না ভালো সারাজীবন তোমার হাসিমাখা মুখ খানি দেখতে চাই  এভাবে বেঁচে খাকতে চাই তোমার মাঝে তোমার পৃথিবীর স্বপ্নের রাজ্যে  যেখানে তুমি আমায় রাখবে অনন্তকাল...............

শ্রাবণের রিমঝিম আমার একটা করে প্রহর তোমার অপেক্ষা সময়ের কাছে বিনয়ী দিন চলে যায় রাত এর প্রহর শেষ হয় বিদায়ী মুহূর্ত কী করে কাটবে .......

  প্রকৃত হৃদয় আছে যার  সেইতো ভালোবাসে, ভালোবাসা তো হয় না চাওয়া পাওয়ার সীমারেখা, গভীর যত অনুভূতি হৃদয়ের সাড়া তত বেশী ।।

 অবাক পৃথিবীর দিকে নির্বাক চেয়ে রই আকাশের দৃষ্টি সীমার মাঝে নিজেকে খুঁজে পাই অন্তঃসারশূন্য হৃদয় মাঝে..........

চিরচেনা সেই পথ যে পথে হেঁটেছি আমরা অনন্ত কালের সঙ্গী হয়ে এখানে কেউ আমাদের রুখতে পারবে না আমরা পৌঁছে যাবো অসীমের মাঝে ।

পুরনো স্মৃতি ভেবে কেটে যায় আমার দিনের ব্যস্ততা রাতের আঁধারে তোমার কথা, তেমার গান শুনে চলে যায় অচীন পুরে নতুন সূর্যের আলোয় জাগরিত হই আবার আমি নতুন আড্ডায় আবিষ্কার করি নিজেকে কখনও facebook এ বসে, কখনও like status এর fun পড়ে আবার কখনও বা নতুন কারো সাথে বন্ধুত্বের কথোপকথনে জড়িয়ে চাঁদের আলোয় নতুন কবিতা, নতুন গানের আবিষ্কারে রাতের নিরবতা কেটে যায় আমার  তোমাকে ভাবতে আমার একটুও ইচ্ছে করে না তবুও আমার সবটুকু জুড়ে থাকো তুমি, তোমাকে বলি আমাকে আর বিরক্ত করো নাতো তুমি তবু কেন তুমি চুপিচুপি এসে আমার নিরব মনে জাগরিত হও ?

কিছুটা সময় আঁধারে কাটে কিছুটা সময় বিনিদ্র আঁখিতে আমার অচেনা মনকে আমি নিজেই চিনি না কেন আমাকে কাঁদায় ? আবার নিজের মুখকে দু'হাতে চেপে ধরি যে সময়ে তোমাকে ছিল অনেক বেশি প্রয়োজন সেই সময়ে তুমি হয়ে গেলে অন্য কারো.... আজ তুমি অন্য ভুবনের বাসিন্দা কী কারণে আমায় ছেড়ে গেলে তুমি আজও জানতে পারিনি আমি কতটা স্বার্থপর হলে তুমি । তোমার সুখটাকে নিয়ে গেলে আমার দুঃখটাকে সাগরের কাছে দান করলে আজ বুকের ব্যাথা গুলো বাঁধ ভাঙ্গা বন্যার মত উপচে পড়ে শুকনো পাতার র্মর্মর শব্দে চারিদিক ছড়িয়ে পড়ে ।

আমার মত কাউকে পাবে নাকো তুমি এই পৃথিবীতে দ্বিতীয় আর একটি এই কথাটি বলতে তুমি কিছুটা সময় পরপর ভাবতাম আমি, কী হবে আর- তুমি বলতে এখনো সময় আছে বেছে নাও আমায় যখন অন্য কারো হয়ে যাবো তখন খুঁজে পাবে না গো আমায়  আমি তোমার পাগলামিকে পাত্তা দেয়নি কখনো আর বলেছি এসব কথা ছাড়ো ভালো থেকো সব সময় আমার আর্শীবাদ তোমায় ঘিরে থাকবে সারাটি ক্ষণ বুকের মাঝে ব্যাথা নিয়ে বলেছি তোমায় বলতে পারিনি ভালোবাসি অনেক তোমায় কী করে বলবো যদি হারিয়ে ফেলি তোমায় তাই পাওয়ার চেয়ে না পাওয়াকেই বেঁছে নিয়েছি বারবার অবহেলা করে হলেও নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছি  একটি বার হলেও তোমাকে ভাবতে পারবো প্রার্থনা করতে পারবো - "ভালো থেকো সব সময়" ।।

প্রেম কী আমি জানি না প্রেম নিয়ে কত কথা, কত কল্পনা, কত হাসি মাখা প্রেম কী আমি বুঝি না প্রেম নিয়ে কত জীবন নষ্ট হওয়া প্রেম কী আমি জানি না প্রেম নিয়ে কারো কারো পাগলামী অবাধ হয়ে পড়া প্রেম কী আমি বুঝি না প্রেম নিয়ে দুটি প্রাণের উচ্ছ্বলতা প্রেম কী আমি জানি না প্রেম নিয়ে আবেগের খেলা করা প্রেম কী আমি বুঝি না প্রেম নিয়ে আবেগের মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়া প্রেম কী আমি জানি না প্রেম নিয়ে এক সময় সব স্বপ্নের ইতি টানা........

সমুদ্রের কাছে যতবার এসেছি ততবার বলেছি তোমাকে ভুলতে চা্‌ই আমার নিঃসঙ্গ মুর্হূত যেন  আরো বেশি কাছাকাছি এসেছে কষ্টকে আরো বেশি অনুভব করেছি তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যেতে পারি না একটু হৃদ স্পন্দন হলে সেখানেও তুমি । এরপর আবার একাকী মনে ঘরে ফেরা পৃথিবীর সব দুঃখের ভাগ বইয়ে আনা নিজের অজান্তে নিজের সাথে কথা বলা আমার স্বপ্নকে খুঁজে ফেরা !!!!!

ঝুম ঝুম  বরষা সকালের ঘুম নিল কেড়ে চারিদিকে শুন্যতার ছোঁয়া প্রাণ খুলে গাইতে ইচ্ছে হলো রবীন্দ্রনাথের শ্রাবণ ধারার গান গুলো মন আমার বিকশিত হলো চিত্ত আমার দুলে উঠলো নৃত্য আমার অঙ্গে এলো দু' হাত আকাশে উচিয়ে ধরলাম উজাড় করলাম নিজেকে খুব ভালো লাগছে মনে হচ্ছে প্রতিদিন এমন ভাবে যদি কাটতো আর কোন ক্লান্ত আমাকে স্পর্শ করতে পারতো না ।

       ঘুম আসে না আমার চোখে                               নির্বাক হয়ে থাকি আমি অন্ধকারে   কী হলো 'আমার 'জানেনা উদাসী মনটা ।

 আজ একটা গল্প বলি - আমাদের গাঁয়ে ব্যাতায় বুড়ি নামে একজন বুড়িমা ছিলেন । তিনি নিয়মিত তার কাজ গুলি করে চলতেন, কখনো ফাঁকি বাজি করতেন না । তিনি কাজ করতেন জমিদার বাড়ীতে। একদিন জমিদার পূজা দিতে যাবেন ঠিক করলেন বাসার  বাইরে অর্থাৎ তিনি বরাবরই বাড়ীতে পূজা দেন । এই বছর তিনি ঠিক করেছেন গঙ্গার ধারে পূজা দিবেন ।  জমিদার যা ভাবলেন তাই করলেন । ঠিক সময়ে পূজা আসলো তখন তিনি লোকজন, সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত হলেন  পূজা দিতে যাওয়ার জন্য । তিনি যাওয়ার আগে সবার কাছ থেকে সব আর্জি শুনলেন এবং সবার মনবাসনা পূর্ণ হয় সেই প্রার্থনা করবেন জানালেন । এই বলে জমিদার রওনা দিলেন জাহাজে ওঠার জন্য, হঠাৎ তার ব্যাতায় বুড়ির কথা মনে পড়লো । সবার কথা তিনি শুনেছেন কিন্তু তার কথা শোনেননি । জমিদার বাড়ীতে ব্যাতায় বুড়ি কাজ করতেন দীর্ঘ দিন ধরে, তাই জমিদারের মায়া হলো । আর সবাই সব কিছু দূর্গা মায়ের কাছে আর্জি করেছে কিন্তু ব্যাতায় বুড়ি কিছুই চাইনি । জমিদার কেশব চন্দ্র রায় যখন নিজে থেকে ব্যাতায় বুড়িকে জিজ্ঞেস করলেন বুড়িমা আমি তো পূজা দিতে যাচ্ছি, সবার আর্জি তো শুনেছি এখন আপনার আর্জি ক...

আমার চেতনার রঙে রঙিন হলো ধরা আমি মনোরম আবেশ মিশিয়ে ডাকি তাকে সে তো দেয় না ধরা আমাতে আমার বিলাসী মন উদাস হয়ে থাকে সারাক্ষণ

আমার জানতে ইচ্ছে করে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কেউ বলতে পারে তার মরতে ইচ্ছে করছে ?

নয়ন আমায় খুঁজেরে চারিধার কী আমায় ডেকে চলে সারাটি ক্ষণ অবলীলায় আমি আমাকে জিজ্ঞেস করি কী হয়েছে গো ভাই উত্তর পাইনা আমি কোথাও দেয় না সাড়া কেউ আমায়