জীবনের গতিধারা কোথায় যাচ্ছে বুঝতে পারছি না, তবে এটুকু বুঝতে পেরেছি আমাকে কিছু একটা করতে হবে। কিছু করবার জন্য উদ্যোগ নিলাম তখন থেকেই একটা অস্থির ভাব তৈরী হলো আমার মাঝে। চলতে খাকলাম আমার গতিধারায়............................................................................................................................
গন্তব্যের মাঝে এলো অনেক বাধা তবু সেগুলো কে পুঞ্জীভূত করে আমার জীবনের পথচলা , জানি না আমার কী আছে সামনের দিনগুলোতে, এভাবে বেঁচে থাকা বলে না তবু বেঁচে আছি নিজের জন্য নয় দেশ কে কিছু দিতে এবং দেশের মানুষের জন্য কিছু করে যেতে । জানি না আমার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে কিনা । আজ একটা চাকরির ভাইভা দিতে গিয়েছিলাম...........
সেখানে মানুষকে কিভাবে ক্রয়-বিক্রয় করে তার নমুনা পেলাম।
বাসা থেকে বের হয়ে লাইন বাসে চাপলাম, তারপর অনেক চরাই-উতরাই পেরিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌছাঁলাম। অবশেষে অফিস খুজেঁ পেলাম । আর ভাবলাম কতদিন এভাবে চলবে, যাই হোক কাক্ষিত ভাইবার মুখোমুখি হলাম।
অফিসের বস আমাকে প্রশ্ন করলেন আগে কোথাও চাকরি করেছি কিনা, আমার উত্তর যথারীতি দিলাম না। ব্যাস এখানেই কথা শেষ। অবশেষে যখন চাকরি হলো তখন আর ইচ্ছা হলো না এই চাকরি করি। কারণ-
১. যাতায়াত কোন সুযোগ-সুবিধা নেই,
২. দুপুরের খাবারের কোন নির্দিষ্ট সময় নাই,
৩. অফিস ১০ ঘন্টা চলবে,
৪. অফিসে joint হওয়ার আগে training দিতে হবে, নিজের খরচে
৫. বেতন ৭০০০টাকা
৬. ছয় মাস পর বেতন বাড়বে, কোন কিছু নির্দিষ্ট নয়।
৭. কাজ করতে হবে নিজের মনে করে এবং অফিস নিয়ম-কানুন মেনে।
৮. অফিসে কোন ব্যক্তিগত অতিথি আসতে পারবে না।
এছাড়াও অনেক নিয়ম এই চাকরির জন্য ।
আমি তো রীতিমত বোকা বনে গেলাম। এইটা কোন চাকরি না কশাই খানা !
অবশেষে এটাকে মাথা থেকে ঝেরে ফেললাম। এই চাকরি আমি না করলেও আমার সাথে যারা ভাইবা দিতে এসেছিল তারা এই চাকরি করবে। অফিস থেকে বের হওয়ার সময় কয়েক জনকে জিগেস করলাম এই চাকরি করবে কিনা , তারা এই চাকরি করবে, শুনে আমি হতবাক। এই দেশের মানুষের কি ভাবে নাজে হাল করছে । সদ্য পাশ করে আজ আমরা অর্থ উর্পাজনের জন্য পথে বের হয়েছি কিন্তু আমাদের জন্য নির্দিষ্ট কোন চাকরি নাই................................................
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন