প্রকৃতির রুপে মুগ্ধময় সত্তা

শত শতাব্দী ধরে আমি বসে আছি নিঃশ্চুপ, সারাদিন ব্যস্ততার মাঝেও উঁকি দিয়ে যায় সেই স্পর্শ- হাত দিয়ে স্পর্শ না করলেও, পুরো হৃদয়ের মালিক হয়ে যায় সে।। আমার একটা প্রেম ছিল, যা আমার হবেও না এমন একটি প্রেম আমারো একটা দিন ছিল,সেই চোখ- যে চোখে চোখে কথা বলেছিল, যে আমার জন্য কেঁদেছে, রাগ করেছে, যে যুদ্ধ করে, জীবনের শেষ পর্যন্ত হেসেছে ।। এমনকি হাল ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি, আবার সময়ের চেয়ে যে কোন প্রয়োজনে বেশি- একগুঁয়েমি দিনগুলো পার করেছি ।। আমারও একটা মন ছিল, প্রিয় কোন ব্যক্তির প্রতি, পুরো মনটাই জুড়ে ছিল সেই আধিকারিক ।।  অধিকার না থাকলেও, চোখের কোণ দিয়ে ঝরে যেতো অঝর ধারা- তুমিই ছিলে একমাত্র স্পর্শকাতরতার অভিধান, খুব একগুঁয়ে মন আমার- কষ্ট গুলো আমারো ছিল, হারানোর সবচেয়ে অসহ্য যন্ত্রণা, যেটা তোমাকে না দিয়ে  শুধু তোমার জন্য তুলে রাখা- আমার এ চোখ লাল হওয়ার আগ পর্যন্ত শুধু কেঁদেছি, হৃদয় থেকে ঝরে পড়া ব্যথা অঝরে ঝরিয়ে গিয়েছি ………।। আমারো একটা স্বপ্ন ছিল, ভেবেছি তোমাকে নিয়ে, যার কাছে আছে আমার অধিকার- আমি তোমাকে চাই, যে আমার হৃদয় হরণ করে যায়- আমার সাথেই থেকো- আমার সাথে জীবন উপভোগ করো আমর...

  আমি আর একটা বার ইচ্ছা প্রকাশ করতে চাই শুধু তোমার জন্য তুমি আমার হবে কি?   তুমি লক্ষ্য করো নি সেই কবে থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছি- শুধু তোমারি অপেক্ষায়!   অনুভবে খুঁজেছি তোমায়- চেয়ে দেখো না আমায়!   রঙতুলিতে এঁকেছি তোমায়- এতো ভেবেছি তোমারি আশায়!   মনের ট্যালিপ্যাথি দিয়ে ডেকেছি তোমায়- শুনতে পাওনি হয়তো বা আমায়!   সেই কবে থেকে জ্বলে আর নিভে গেছি এই আমি তুমি দেখতে পাওনি সে হৃদয়!!   তাইতো তোমারি অপেক্ষায়- তুমি আমার হবে কি?

                                                   আমার প্রিয় পাখি, আমার প্রিয় পাখি! তুমি আমার জান, তুমি আমার ভালোবাসা, তোমার বিরহে আমি বিরহিত- তুমি আমার আত্মা, তুমি আমার স্বত্তা, তোমায় ছাড়া বাঁচেনা এ প্রাণ। আলো-ছায়ায় মিশে আছে আমার এই ভালোবাসা- মিছে আশায় পথের দিকে চেয়ে থাকা, কেন পাখি তুমি আসো না। হঠাৎ ভোরে কলিং বেজে উঠলো এলোমেলো ভাবে গিয়ে দেখি একলা পাখি- কোথায় ছিলে ও প্রিয় পাখি- হঠাৎ তুমি কেন এলে এই ভোরে কেন এসে ঘুম ভাঙালে- বলনা পাখি।। বাইরে ভীষণ শীত যে এখন, খাবে কিছু- কফি কিংবা অন্য কিছু।। কতো দিনের কত কথা  আমার ভেতর জমে আছে ।। আমার একটা জীবন ছিলো, সেই জীবনে কবিতা ছিলো, তার একটা স্পন্দন ছিল, সেই ছন্দের ভেতর একটা গল্প ছিল, তার কান্নাও ছিল—---------।। আমি এখন অনেক একা !! হৃদয় ছেড়ে গিয়েছে আঙিনা থেকে দূর-বহুদূর !! পাখি বলো কেমন আছো ? তুমি ভালো আছো পাখি !! আমার ভীষণ তাড়া আছে জীবন দৌঁড়ে ছুটতে হবে- এই সকালে কী ...

  হে নগর তোমাকে খুব মিস করি, র্দীঘকাল চলে গেছে র্দীঘ দিবস, ফিরতে চেয়েছি আমি বহুবার- আজ র্দীঘ নিঃশ্বাস- স্মৃতিরা শুধু খেলে যায় মনের গহীনেে।। এ আমার নগর নয়- আমার নগর নেই, গাঁও নেই- নেই কোন বিপ্লব; নির্বাসনে সমস্ত বিশ্বাস আর ভালোবাসা।। কোথায় হারালে তুমি! যে নগরে তুমি নেই- সে নগর তো আমার নয়, তুমিহীন আজ আমি দাঁড়াবো কোথায় বলো? হে নগর তোমাকে খুব মিস করি- চলে এসেছি বহুদূর- একা- আমি এখন অনেক একা!!!

  প্রেম তুমি কেন বার বার ফিরে আসো এই দুর্নিতির বাজারে,   কেন তুমি এসে গেঁয়ে উঠ জীবনের তারুন্যের উদ্দ্যমতার গান-   কেন তুমি ছড়িয়ে দাও    বিশালতার উপমা।   ইচ্ছাগুলোকে কেন জাগরিত করে মেলে ধরো চারিধার-   শুধু একবার এই দুর্নিতিগ্রস্থ মন জানতে চাই -   “আমি কি আবার সেই আমি হয়ে উঠবো, যে ছিলো আগের আবেগে মিশ্রিত বিনোদনে ভরপুর ”   এইভাবে কাটেনা সময়ের গোলক ধাঁধাঁ- যেখানে ফাঁদে ফাঁদে বিচ্ছিন্ন থাকে জীবনের স্তর।   অবিশ্বাসের ছায়া চর্তুদিকে ঘিরে আছে বড় মায়াবী সাজে- সে জাল ছিন্ন করার সাধ্য কার?   অনুতাপের ছায়া আছে কী কারো মাঝে!!! আছে শুধু আলেয়ার পিছে ছুটে চলা অফুরন্ত সময়।   চারিদিকে শুধু বেদনার হাহাকার- বড় অভিমানী এই স্বত্ত্বার অধিকারী -   তাকে ভোলানো যায় না অতি সহজে- আছড়ে পড়ে অবিরাম স্মৃতি হেমন্তের ঝরাপাতার মতো- এলোমেলো সব কল্পনা নিছকই হয়ে যায়।।   প্রেম আবার ক্ষণে ক্ষণে জাগরিত হয়, ইতিহাস ভেঙে আবার নতুন ইতিহাস গড়ে যায়-   মায়ায় বাধাঁনো চেতনা আটকে যায় স্মৃতির ঢেউয়ে! প্রেম আর আমি মুখোমুখি বসি, ভাঙনের শব্দ নিরন্তর।।